কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। এক মাস নয়, দুই মাস পর করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যারা টিকা নিয়েছেন। যাদের চার সপ্তাহ বা এক মাস পরে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার তারিখ দেয়া হয়েছে তাদের পরবর্তী ডোজের নতুন তারিখ এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। দেশে টিকা কর্মসূচির অষ্টম দিন সোমবারে করোনা টিকা নিয়েছেন রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে অনেক সমালোচনা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে টিকা এনেছেন এবং দেশের সাধারণ মানুষসহ সবাই টিকা পাচ্ছেন।
সবাইকে টিকা নিয়ে দেশকে কোভিড মুক্ত করার আহবানও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মুস্তাফা কামাল উদ্দীন টিকা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় টিকা গ্রহণ করেন।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন দেশে করোনা টিকার দ্বিতীয় চালান আসবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি।
তিনি বলেন, এবার করোনা টিকার ২০-৩০ লাখ ডোজ আসবে। টিকা আনাটা চাহিদার ওপর ভিত্তি করে নির্ভর করছে। তবে চুক্তি লঙ্ঘন হওয়ার কোনো বিষয় নেই বলেও জানান তিনি।
গত ২৭ জানুয়ারি এই টিকা প্রথম ৩০ জনকে দেওয়া হয়। সর্বপ্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক হিসেবে প্রথম টিকা নেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন, তারপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
এদিকে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে- এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন এবং নারী ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৪ জন। এ ছাড়া সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মোট ৪২৬ জনের মধ্যে।