কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পর এবার নির্বাচনী প্রচারে নামছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আগামীকাল এক ফেব্র“য়ারি শুরু হচ্ছে দলটির প্রচারণা। যদিও ২০১৬ সালে সিলেট থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিল জাপা।
এরপর প্রচারে আর গতি আসেনি। নির্বাচন আসন্ন। অর্থাৎ নির্বাচনের বছর শুরু। তাই ফের প্রচারে নামছে দলটি। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারে ফেব্র“য়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে চারটি জেলা সফর করবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় সফর কর্মসূচীর কথা জানিয়েছেন জাপার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছে আওয়ামী লীগ। তাই বসে থাকতে নারাজ জাতীয় পার্টিও। তারা গরম করতে চায় নির্বাচনী মাঠ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সেখানে দলের নেতাকর্মী সহ বৃহত্তর সিলেটের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি হেভিওয়ের প্রার্থীদের মাঠে কাজ করার জন্যও গ্রীণ সিগন্যাল দিয়ে আসবেন এরশাদ।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল অমিন হাওলাদার এমপিসহ দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে নিয়ে হেলিকপ্টারে যোগে সিলেট যাচ্ছেন এরশাদ।
জাপার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ ফেব্রুয়ারী রাজধানীর সোহ্ওয়ার্দীতে বড় ধরণের শোডাউন করার প্রস্তুতি নিয়েছিলো দলটি। কিন্তু একুশে বইমেলা এবং ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সমাবেশ স্থগিত করা হয়। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্চে সুবিধাজনক সময়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দলের বৃহত এই কর্মসূচী স্থগিত হওয়ায় নাখোশ নেতা কর্মীরা। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক সফর চূড়ান্ত করা হলো।
জাপার দফতর সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে ফিরেই ঠাকুরগাঁও যাবেন এরশাদ। এছাড়া দুই ফেব্র“য়ারী ময়মনসিংহ, তিন ও চার ফেব্র“য়ারী সৈয়দপুর ও দিনাজপুর সফর করবেন। দফতর সূত্রে আরো জানা যায়, ফেব্র“য়ারি মাসেই সারাদেশের সাংগঠনিক সফরের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। যা আগামী রমজান মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আগামী নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। জনগণ পরিবর্তন চায়, জাতীয় পার্টি তথা পল্লীবন্ধু এরশাদই এ পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জনসভা করার। আমরা ৯টি বিভাগীয় শহরে বড় ধরণের জনমাবেশ করবো। বিভাগীয় প্রতিটি সমাবেশেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বক্তব্য রাখবেন। আমাদের প্রতিটি সংসদীয় আসনেই একাধিক শক্তিশালি প্রার্থী রয়েছে। তবে, যারা কর্মীবান্ধব এবং দল ও এরশাদের প্রতি কমিটেড, তাদেরই মনোনয়ন দেয়া হবে।
দলটির নেতারা জানান, নির্বাচনের আগে মাঠের অবস্থা দেখতেই সাংগঠনিক সফর। রংপুর সিটি নির্বাচনে জাপার বিজয়ের পর এখন প্রায় সব জেলাতেই নেতাকর্মীরা চাঙ্গা। প্রতিদিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ভীড় করছেন মাঠ পর্যায়ের নেতারা। তারা নিজ নিজ জেলায় সাংগঠনিক সফর চাচ্ছেন। পাশাপাশি মনোনয়নের সুপারিশ নিয়েও এরশাদের কাছে হাজির হচ্ছেন অনেকে।