কাজিরবাজার ডেস্ক :
সুনামগঞ্জের বেতগঞ্জ বাজারের এক চায়ের দোকানির ১৩ বছরের শিশুকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতভর অত্যাচার শেষে শিশুটিকে আদালত এলাকায় ফেলে যায় অভিযুক্ত নরপশু মো. আজাদ মিয়া (৩০)।
অভিযুক্ত আজাদ মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক মাস পূর্বে অভাব অনটনের কারণে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার হান্দরচর গ্রামের মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা স্ত্রী, সন্তান সহ বেতগঞ্জ বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সামনে চায়ের দোকান খুলেন মেয়েটির বাবা ।
খবরে প্রকাশ গত ৩১ জানুয়ারি পার্শ্ববর্তী গ্রামের বিবাহিত লম্পট মো. আজাদ মিয়া রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পেছনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে কন্যা শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়।
পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে আদালত প্রাঙ্গণে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গেছে লম্পট আজাদ।
অবশেষে আদালত প্রাঙ্গণে রাস্তার পাশে রাত সাড়ে ১১ টায় অজ্ঞান অবস্থায় শিশুটিকে পরে থাকতে দেখে এক সিএনজি চালক ঐ শিশুটিকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. সৈকত দাস জানান, রাতে অসহায় পিতা এবং আরও কয়েকজন ঐ কন্যা শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে আসলে ভর্তি করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয় এবং তাকে পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই পুলিশ শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যায়। অভিযোগ পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।