কাজিরবাজার ডেস্ক :
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমিনের একটি ফেসবুক পোস্ট কৌতুহল সৃষ্টি করেছিল সবার মধ্যে। সন্দেহ, আলোচনা, সমালোচনা চলে এ নিয়ে। সন্দেহের তীর যায় এক উপ-প্রকৌশলীর দিকে। তবে তিনি এখন সন্দেহমুক্ত হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমিন গত ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পরে আলোচনায় চলে আসে তার ওই ফেসবুক পোস্ট। মৃত্যুর ২০ দিন আগে, গত ৫ ডিসেম্বর তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে লিখেন, ‘আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমার কোন শারীরিক, মানসিক, অর্থের ক্ষতি হলে ৩ জন মানুষ দায়ী থাকবেন।’
এই ৩ জনের নাম-পরিচয় তার মেয়ে সেজুতির কাছে আছে বলেও উল্লেখ করেন সেলিনা ইয়াসমিন। উপযুক্ত সময়ে সেজুতি তা প্রকাশ করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এরপর অসুস্থ হয়ে ২৫ ডিসেম্বর মারা যান সেলিনা ইয়াসমিন। তার সেই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সন্দেহের তীর ছিল উপজেলা এলজিইডির উপ-প্রকৌশলী ওয়াজিবুর রহমানের দিকে। ওয়াজিবুর রহমানকে নিয়ে চলছিল নানা গুঞ্জন। এর মধ্যে একটি সংবাদপত্র ওয়াজিবুর রহমানকে নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে। ফলে সন্দেহ ঘনীভূত হয় আরও।
তবে ওয়াজিবুর রহমানকে নিয়ে ধূম্রজাল দূর করেছেন প্রয়াত সেলিনা ইয়াসমিনের মেয়ে সেজুতি।
সেজুতি বলেন, ‘আমি এ মুহূর্তে ঐ ৩ জনের ব্যাপারে কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু প্রকৌশলী ওয়াজিবুর রহমানকে নিয়ে যে গুজব-গুঞ্জন চলছে তা ঠিক নয়। মা যে তিন জনের কথা বলেছিলেন সেখানে ওয়াজিবুর রহমানের নাম নেই।’