কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইরানী সামরিক বাহিনী রেভুলিউশনারি গার্ড কর্পসের হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিমানের যাত্রীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব করেছে ইরান। নিহত ১৭৬ যাত্রীর প্রত্যেকের পরিবার দেড় লাখ মার্কিন ডলার করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে হামলায় জড়িতদের বিচারের পরই এই ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরে এসব তথ্য উঠে আসে।
জানুয়ারিতে তেহরান থেকে উড্ডয়নের পরই ইউক্রেনের বোয়িং ৭৩৭ বিমানে দুটি ক্ষেপনাস্ত্র আঘাত হানে। প্রথমে বিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে ইরান দাবি করে এ হামলা “অনিচ্ছাকৃতভাবে” হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ইরানের ৮২ জন, কানাডার ৬৩ জন, ইউক্রেনের ১১ জন নাগরিক ছাড়াও আফগানিস্তান, যুক্তরাজ্য, জার্মানির নাগরিক ও ৯ জন ক্রু রয়েছেন।
বুধবার তেহরান জানায়, এ ঘটনার তদন্তের প্রতিবেদন ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে পাঠানো হয়েছে। তবে ইউক্রেন বলছে, সমঝোতার জন্য ইরানকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক নীতি মেনে হামলায় জড়িত প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলে নিকোলেঙ্কো জানান, “যেহেতু এ হামলায় নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে সেহেতু আমরা বিচারের ক্ষেত্রে কোন আপোষ করবো না। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে হামলায় খুঁটিনাটি তথ্যসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাবি করছি আমরা।”
৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের এলিট ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাশেম সোলাইমানি। শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পর ইরানে তাকেই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি গণ্য করা হতো। ইরান এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় হামলা শুরু করে। ৮ জানুয়ারি ইউক্রেনের বিমানটি ইরানের আকাশপথে থাকা অবস্থায় সেটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। ইরানের কর্তৃপক্ষ এটিকে ‘অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা’ দাবি করলেও এর প্রতিবাদে সেসময় দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।