জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
কেউ দেয়াল পরিষ্কার করছেন, কেউ মেশিন দিয়ে টাইল্স কাটছেন, কেউবা ভাঙা টাইল্স টেনে তুলছেন আবার কেউ টাইল্স বসাচ্ছেন এ দৃশ্য চলছে এখন বিশ্বনাথ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডের শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা গেল কর্কশিট বাদ দিয়ে এবার সত্যিই সত্যিই সংস্কার কাজ চলছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘কর্কশিট দিয়ে শহীদ মিনার সংস্কার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর সংবাদ প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সত্যিই সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রায় ৯৫টিরও বেশি টাইল্স লাগানো হয়েছে, দেয়ালের রঙের কাজও চলছে এবং দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
শহীদ মিনারের কাজে নিয়োজিত থাকা টাইল্স শ্রমিক ইছুফ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি ফারুক মিয়া নামের ঠিকাদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। শুক্রবার সকালে জরুরী ভিত্তিতে তিনিসহ আর ৫জন কর্মচারী ঠিাকাদারের নির্দেশে ওই শহীদ মিনারে কাজ শুরু করেছেন। শুক্রবার মধ্যরাতের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ থাকায় টাইল্স শ্রমিক মনির মিয়া, ফজলু মিয়া, খলিল মিয়া, সুহেল মিয়া সকাল থেকে ভাঙা টাইল্স তুলে নতুন টাইল্স লাগাচ্ছেন।
১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে ‘উপজেলা প্রশাসন’ ও ‘বিশ্বনাথ সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদ’। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে কর্কশিট দিয়েই শহীদ মিনারটি সংস্কার করা হয়। ওইদিন বিকেলে ‘বিশ্বনাথ সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদ’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে কর্কশিট দিয়ে শহীদ মিনার সংস্কার কাজের এমন দৃশ্যটি চোখে পড়ে। ফলে দৈনিক কাজিরবাজারবাজার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর বিশ্বনাথের ওই শহীদ মিনারটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার ড. জাফর আহমেদ খান। উদ্বোধনের ৯ বছর পার হতে না হতেই শহীদ মিনারের পেছনে বড় একটি ফাটল ও শতাধিক টাইলস্ ভেঙ্গে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ও সিলেট জেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের অর্থায়নে এ শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়।