কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের ‘নতুন রূপ’ বি১১৭ এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত নতুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আগের কৌশল অবলম্বনই যথেষ্ট বলে মনে করে সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারি বিশেষজ্ঞ দল জানায়, মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আর নিয়মিত হাত ধোয়ার মাধ্যমে এই নতুন করোনাভাইরাস থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া এর সংক্রমণ রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাজ্য একযোগে কাজ করছে বলে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে বিশেষজ্ঞ দল। বর্তমানে ব্যবহৃত করোনাভাইরাসের টিকাগুলো এই নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধেও কার্যকর বলে আশাবাদী তারা।
এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর করোনা টিকার উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক এক বিবৃতিতে জানায়, ফাইজার কোভিড-১৯ টিকা নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কম কার্যকর, এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ তারা এখনো পায়নি। এ বিষয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বি১১৭-এর বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে তারা। তবে এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদল দাবি করে, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা মানবদেহে যে ধরনের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি করে, তা করোনার অন্য জিনগত পরিবর্তিত রূপের বিরুদ্ধেও সমানভাবে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর কোনো কারণে এই টিকা নতুন করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ব্যর্থ হলে, ছয় মাসের মধ্যেই কার্যকর নতুন টিকা প্রস্তুতে করবে বায়োএনটেক।
এদিকে বিবিসি জানায়, নতুন করোনা ভাইরাসের সঙ্গের আগেরটির ১৭টি জিনগত পরিবর্তন শনাক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল জানায়, ভাইরাসের বাহ্যিক গঠন তথা স্পাইক প্রোটিন, আগেরটির চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম হওয়ায় এটি আরও দ্রুত মানবদেহে প্রবেশ করতে সক্ষম। গত ২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের কেন্ট রাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাসের নতুন রূপ বি১১৭ দ্বারা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৪ ডিসেম্বর লন্ডনসহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যে এই নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কথা জানান ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। এরপরই যুক্তরাজ্য আসা-যাওয়ায় নাগরিকদের সতর্ক করে বিশ্বের অন্য দেশগুলো। দ্রুত সংক্রমণ রোধে লন্ডনে জারি হয় সর্বোচ্চ টিয়ার-৪ মাত্রার লকডাউন। যুক্তরাজ্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলো।