সেলিম হাসান কাওছার, গোলাপগঞ্জ থেকে :
গোলাপগঞ্জে চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি শিমের এবার ভালো ফলন হয়েছে। এ মৌসুমে শিমের যথেষ্ট চাহিদা থাকায় দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। এখন বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি করা হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাজারে শিমের দাম পাওয়ায় কৃষক-কৃষাণীদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন, ভাদেশ্বর, বাঘা, লক্ষ্মীপাশা, বাদেপাশা, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় শিম ব্যাপক হারে চাষাবাদ করা হয়েছে। এ উপজেলায় শিমের বেশি চাষাবাদ হয়েছে লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে। এ ছাড়া এ উপজেলা দিয়ে ভয়ে যাওয়া সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন তীরে শিমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। উৎপাদিত শিম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এতে পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে চাষিরা বিক্রি করে আশানুরূপ অর্থ উপার্জন করে থাকেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৮শ হেক্টরের বেশি জমিতে শিমের চাষাবাদ হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ৮শ ৭০ হেক্টর শিম চাষাবাদ করা হয়। স্বল্প শ্রম এবং কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে শিম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়ে গেছে। শিম চাষি উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের আছাব আলী জানান, গত বছর তিনি ১৫ শতক জমিতে শিমের চাষ করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার শিম ও শিমের বীজ (দানা) বিক্রয় করেছেন। এতে তিনি খরচের দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন বিধায় এবারো তিনি ২৫ শতক জমিতে শিমের চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিম ক্ষেত ভালো হওয়ায় পাশাপাশি দাম থাকায় লাভবান হবে বলে আশা পোষণ করেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাইরু আমীন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের কৃষি কাজে আগ্রহ হওয়ার জন্য সকল ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। পাইকারি ভাবে শিম বিক্রি করার জন্য উপজেলার লক্ষণাবন্দের পুরকাস্থবাজারে ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এছেম্বল সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে উপজেলার সকল কৃষকরা শিমসহ সকল ধরণের সবজি বিক্রি করতে পারবে। উপজেলায় এ বছর ৮শ হেক্টর শিম চাষাবাদ করা হয়েছে। তবে আরো বাড়ার সম্বাবনা রয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ৮শ ৭০ হেক্টর শিম চাষাবাদ করা হয়।