জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে অবৈধ ভাবে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অযৌক্তিকভাবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া রাস্তা অবরোধ করে জন দুর্ভোগ সৃষ্টির প্রতিবাদে জৈন্তাপুর বটতলায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে জৈন্তাপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনতা।
গতকাল ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় জৈন্তাপুর বটতলায় জৈন্তাপুর উপজেলাবাসীর আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ পরগনার বিশিষ্ট মুরব্বী মাওলানা রহমতুল্লাহ সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুবেল শরিফের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বত্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, ১৭ পরগনার বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুস শুক্কুর, আব্দুল হক, মহিবুর রহমান, আমিন আহমদ, শ্রমিকনেতা আব্দুর রব, বাস মিনিবাস চালক ও মালিক সমিতির উপদেষ্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, ইউপি সদস্য আব্দুর রকিব, শ্রীকলীগের সভাপতি ফারুক আহমদ, ছাত্রনেতা সুভাস দাস বাবলু, আমিন আহমদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সিলেট জেলা প্রশাসক সুনির্দিষ্ট ও সরকারি নিয়ম মোতাবেক সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বালু মহল সারী নদীকে তিনটি ভাবে বিভক্ত করে দুটি অংশ সারী-১, সারী-২ এবং বড় নয়াগাং নদী ইজারা প্রদান করে জেলা প্রশাসক। মামলা অধিভুক্ত থাকায় সারী-৩ এর ইজারা প্রদান করা হয়নি। সম্প্রতি ইজারা প্রদানের পর হতে ট্রাক চালকের একটি গোষ্ঠি সরকারী রয়েলিটি ফাঁকি দিতে ইজারাদারের ইজারা না দিয়ে ট্রাক বুঝাই করে অবৈধ ভাবে বালু লোট করে নিয়ে যায়। রয়েলিটি না দেওয়ার জের ধরে তাদের জেলা নেতৃবৃন্দের পরোক্ষ ও প্রত্যেক্ষ মদদে বিনা কারণে যখন তখন সিলেট তামাবিল মহা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়া ইতোপূর্বে তারা অন্তত ৫ হতে ৭বার তারা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে জন দুর্ভোগ তৈরী করে। সর্বশেষ তারা গত ১২ ডিসেম্বর দিন রাত ২৪ ঘন্টা তারা সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহন চলাচল বন্ধ করে। ফলে রাস্তার উভয় পার্শ্বে শতশত যাত্রবাহী পরিবহন, পর্যটকবাহী গাড়ী, মালবাহি আন্তজেলার ট্রাক, রোগী বাহী পরিবহন এবং সরকারি বেসরকারি চাকুরীজীবীরা আটকা পড়েন। একটি গোষ্ঠির অবৈধ কাজের ফলে গোটা উপজেলার সাধারণ মানুষ জিম্মি। তারা বলেন, ইজারাদার যদি অবৈধ ভাবে তাদের নিকট হতে ইজারা নামে রয়েলিটি আদায় করে তাহলে নিজেদের গাড়ী বন্ধ রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের দাবী আদায়ের জন্য নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করলে এলাকাবাসী তাদের সাথে পাবে। কিন্তু তা না করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারি রয়েলিটি ফাঁকি দিতে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে জৈন্তাপুর অঞ্চলের মানুষজনকে জিম্মি করে তাদের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের সাথে তালি মিলিয়ে হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসন নিরবতা পালন করছে। অপরদিকে গত ১৩ ডিসেম্বর হতে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ উপরের নির্দেশের অজুহাতে সারী-১, সারী-২ এবং বড়গাং নদীর বৈধ ইজারাদারকে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে ট্রাক শ্রমিকদের পক্ষপাতিত্ব করে বৈধ বালু মহালে বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করছেন। আজকের প্রতিবাদ সমাবেশ হতে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাচ্ছি এখন হতে সিলেট-তামাবিল মহা সড়ক যদি অযৌক্তিকভাবে অবরোধ করা হয় তাহলে বৃহত্তর জৈন্তাপুরবাসী এর সমুচিত জবাব দিবে সেই সাথে দায়বার প্রশাসনকে নিতে হবে বলে বক্তারা ঘোষণা দেন।