স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর কুমারগাঁও উপকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৩১ ঘণ্টা পর মহানগরীর কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)। অগ্নিকাণ্ডের পরদিন বুধবার ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় নগরীতে। তবে লোডশেডিং কমছে না।
গতকাল রাতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র বৃহস্পতিবার রাতের দিকে সিলেটে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস দিলেও ঘোষিত সময় পর্যন্ত মেরামত কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এটি সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পিডিবি’র ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামছ-ই-আরেফিন।
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের ৩১ ঘণ্টা পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)। এসময় কিছু অংশে বিদ্যুৎ আসলেও রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যুৎ বিভাগের ডিভিশন ১, ২ ও ৪-এর আওতাধীন বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। মো. আরেফিন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে এবং পুরো সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করছি আজ শুক্রবার দিনের বেলা সিলেটে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় ২শ কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৫ ঘণ্টা নগরীর অর্ধেক এলাকার মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। সিলেট নগরী বিদ্যুৎহীন হওয়ার পর (মঙ্গলবার) থেকেই পানির জন্য প্রতি বাসায় শুরু হয় হাহাকার। কোথাও কোথাও পাড়ার দোকানগুলোতে পয়সা দিয়েও মিলছে না পানি। পানির অভাবে নগরীর ঘরে ঘরে সাংসারিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত দুইদিন রাতে পানির অভাবে অনেক গৃহিনী চুলায় রান্না বসাতে পারেননি। দোকান থেকে শুকনো খাবার কিনে নিয়ে এসে রাত পার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগুনে ৭০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫/৪১ এমবিএ দু’টি ট্রান্সফর্মার পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে ৩৩ কেভি ফিডার ও বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সিলেট, ফেঞ্চুগঞ্জ, ছাতক, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।