কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের বিদেশে বিশেষ করে কানাডায় টাকা পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, তাদের মধ্যে সরকারির কর্মচারীরা টাকা পাচার করে বেশি।
বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ বৈধভাবে বিদেশে টাকা নিলে কোনো আপত্তি নেই। তবে অবৈধভাবে পাচার করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কানাডায় ঢাকা পাচার হওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে আব্দুল মোমেন বেলন, দকানাডায় খবর নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। মনে করেছিলাম, পাচারকারীদের মধ্যে রাজনীতিবিদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেল রাজনীতিবিদ চারজন। সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। কিছু ব্যবসায়ীও আছেন।‘
করোনা মহামারিতে কতজন প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে ১ লাখ ৬০ হাজার প্রবাসী দেশে এসেছেন। অধিকাংশ এসেছেন সৌদি থেকে। সৌদি প্রথমে পাঠাল যারা জেলে ছিল। যারা ক্রিমিনাল এদেরও পাঠাল। তবে সংখ্যা খুব কম।
আগামী ডিসেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমাধান আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, দ আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে একটা সলিড রিলেশন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নতি হলে কিছু শত্রুও বাড়বে। সেজন্য আমরা কাজ করছি।‘
মিট দ্য প্রেসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও স্থানান্তর প্রসঙ্গেও কথা বলেন পররাষ্টমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ মিয়ানমারের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা বলে ফিরিয়ে নেবে, কিন্তু বাস্তবে নেয় না। পৃথিবীর বড় দেশগুলো যদি চাপ দিত, তাহলে হয়তো ফিরিয়ে নিত।‘
কিন্তু রাশিয়া ও চীন রোহিঙ্গা ইস্যেতে কোনো তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি চায় না। এ কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দতারা চায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মিলে এর সমাধান করুক। তবে আমরা আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।‘
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে আন্তর্জাতিক এনজিও বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বরেণ, ‘রোহিঙ্গাদের সিকিউরিটির জন্যই তাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু তারা (এনজিও) প্ররোচনা দিচ্ছে না যেতে। তবে আমরা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে অটল আছি।’