বালাগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ‘ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি’ এমন নয়ন জুড়ানো সোনালী আভায় ভরে উঠছে অগ্রহায়ণের ফসলের মাঠ।
ইতোমধ্যে কোথাও কোথাও ধান কাটা শুরু হয়েছে। চলতি বছর আমনের ভাল ফলনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যদিও আগের দিনের মত নবান্ন উৎসব, ‘ভুলাভুলি’ রকমারী আয়োজন নেই, তারপরও অগ্রহায়ণ ঐতিহ্য আর খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, আবহমান বাংলার শাশ্বত অগ্রহায়ণ মাসকে ঘিরে কৃষক-কৃষাণীদের মধ্যে এখনও অনেক উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। শীত, শিশির আর সোনার ফসলের মৌ মৌ ঘ্রাণ হেমন্তের চারদিক মাতিয়ে তুলছে। চলতি বছর বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় উফশী এবং স্থানীয় জাতের মিলে ১৪ হাজার, ৯শ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। আবাদকৃত জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৭হাজার ৮৭ মেট্রিকটন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ক্রমাগত বৃষ্টিপাত এবং বন্যার কারণে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। বালাগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৬হাজার ৯শ হেক্টর। ওসমানীনগরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ২শ ৫৬হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৮হাজার হেক্টর। বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া জানিয়েছেন, মৌসুমজুড়ে ঘনঘন বৃষ্টিপাত এবং বন্যার কারণে চলতি বছর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে ফলন অনেক ভালো হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছর বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরে ৬৭হাজার ৮৭ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর মধ্যে বালাগঞ্জে উৎপাদন হবে ৩২হাজার ৭শ ২০ এবং ওসমানীনগরে ৩৪ হাজার ৩শ ৬৭হেক্টর।
এ ব্যাপারে আলাপকালে বালাগঞ্জের কৃষক আবুবকর, আব্দুল জব্বার, ওসমানীনগরের কৃষক রুহেল মিয়া, তজমুল আলী প্রমুখ জানান, চলতি বছর বাম্পার ফলন হয়েছে।