দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়া কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পিস প্রকল্পের আওতায় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় সোমবার সকালে আস্ক ইওর লোকাল পুলিশ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশ ও জনগণের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরির মাধ্যমে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত পুলিশের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলো কমিউনিটি পুলিশিং। মূলত এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগে কমিউনিটি পুলিশিং এর কাজ কী এবং কিভাবে তারা পুলিশকে সহায়তা করবেন এসকল বিষয় নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রবাস কুমার সিংহ, অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসাইন, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. জুয়েল হোসেন, এসআই লোকমান হোসেন ও এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্-সদস্যা, সাংবাদিক, এডভোকেট, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, উন্নয়নকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক ও আয়োজকসহ মোট ৬১জন এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ কমিউনিটি পুলিশিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক, জঙ্গিবাদ, কিশোর অপরাধ, শিশু শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষণে পুলিশের ভূমিকা, ছিনতাই, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ভাড়াটিয়াদের তথ্যসংগ্রহ ও সংরক্ষণ, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের পরিধি, জুয়া খেলা প্রতিরোধ এবং দ্রুত গতির বাইকারদের সতর্ক করতে অভিভাবকদের সহযোগিতা চাওয়াসহ বিভিন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয় এবং উপস্থিত পুলিশক কর্মকর্তারা তার যথাযথ উত্তর প্রদান করেন। উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়ার পক্ষে, পিস প্রকল্পের সমন্বয়কারী এবং কর্মশালার সঞ্চালক সুদীপ্ত চৌধুরী উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি অতিথিদের পরস্পরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়া সম্পর্ক প্রাথমিক ধারণা দেন। তিনি অতিথিদের নিকট কর্মশালার উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পুলিশি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং পুলিশ ও জনগণের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা বাড়ানো এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। কর্মশালায় এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ হামিদুল হক উপস্থিত অতিথিদের নিকট এশিয়া ফাউন্ডেশন ও পিস প্রকল্পের উপর প্রাথমিক ধারণা দেন। তিনি বলেন, সিলেটের স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়াকে সাথে নিয়ে এশিয়া ফাউন্ডেশনের পিস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, কার্যকরভাবে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং নানাবিধ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে শক্তিশালী করাই পিস প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। কর্মশালা সম্পর্ক তিনি বলেন, কর্মশালাটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে। নাগরিকদের মধ্যে পুলিশি ভীতি দূর হবে। পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা বাড়বে এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পক তৈরী হবে। যার মধ্য দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং এর মূল লক্ষ্য অর্জন হবে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কর্মকর্তা রোজিনা চৌধুরী এবং নাছরিন আক্তার নীলা। বিজ্ঞপ্তি