দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সপ্তাহজুড়ে ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট চতুর্থ দফা বন্যায় তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের আমনসহ বিভিন্ন জাতের অন্তত ১০ হাজার হেক্টর মওসুমি ফসল ও রবিশষ্য। এদিকে রোববার ভোর থেকে বিনা বৃষ্টিতেই হু হু করে পানি বাড়ছে।
জানা যায়, ভারতের আসাম প্রদেশে সপ্তাহজুড়ে লাগাতার ভারি বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় এবং ভাটিতে পানির টান না থাকায় বিনা বৃষ্টিপাতেই মেঘালয় ঘেষা দোয়ারাবাজারে ক্রমশ পানি বাড়ছেই। এভাবে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উপজেলার অধিকাংশ লোকালয়ে পানি ঢুকে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার আশংকায় রয়েছেন উপজেলাবাসী। হাওরপাড়সহ অধিকাংশ গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে পূর্বের ভাঙনগুলো আরও প্রশস্ত হওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সুরমা, চেলা, মরা চেলা, চিলাই, চলতি, খাসিয়ামারা, কালিউরি, ধুমখালী ও ছাগলচোরাসহ উপজেলার সবক’টি নদীর উপচে পড়া পােিত গোজাউরা, কানলা, নাইন্দা ও বন্দেহরিসহ উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও মাঠঘাট পানিতে টুইটম্বুর। খাদ্যাভাবে আহাজারি করছে গবাদি পশু-পক্ষিরা। এ দিকে সুরমা ইউনিয়নের শান্তিপুর ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ধসে (সংযোগ সড়ক) মাটি সরে গিয়ে দোয়ারাবাজার-লক্ষ্মীপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সুরমা, বগুলা, লক্ষ্মীপুর ও বাংলাবাজার (আংশিক) ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ও দিনমজুরসহ ২০ হাজার মানুষ। রোববার ভোর থেকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হলেও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।