দেশে পেঁয়াজের বাজার আবার অস্তির হয়ে উঠছে। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের মজুদ থাকার পর ও কতিপয় পেঁয়াজ আড়ৎদার এবং মজুদদাররা অধিক মুনাফা আদায়ের লক্ষ্যে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়ে কোটি-কোটি ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি-কোটি টাকা। এ টাকা লিপ্সু ব্যবসায়ীরা মাঝে-মধ্যে যে কোন অজুহাত তৈরি করে একেক সময়ে একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে অবৈধ ভাবে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে কখন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। হলে ও আইনের ম্যারপ্যাঁচে এরা বেরিয়ে আসে।
গতবারের মত এবার ও অসাধু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সেই অসৎ পথ অবলম্বন করছে। ভারতে পেঁয়াজ রফতানী বন্ধের ঘোষণা করতে না করতেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অথচ দেশে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি ছিল না। পেঁয়াজের আড়তদারদের সাথে খুচরা বিক্রেতারা ও অধিক মুনাফা আদায়ের লক্ষ্যে সক্রিয় হয়ে উঠছে।
এদিকে পেঁয়াজের বাজারে পুলিশী অভিযান চললে ও দাম কমানো হচ্ছে না। এদেরকে রুখতে হলে এদের মূলহোতাকে খোঁজে বের করতে হবে বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
গতবার উদ্ভুদ এ পরিস্থির প্রেক্ষাপটে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ৭ দফা সুপারিশ করা হয় পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে, কিন্তু সে সব সুপারিশের একটি ও বাস্তবায়ন হয়নি। গত এক বছর ধরে ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে আছে। এ সুপারিশ গুলোর একটি ও বাস্তবায়নে আলোর পথ দেখেনি।
দেশে একটি চক্র পেঁয়াজ নিয়ে বড় ধরনের কারসাজি করছে, এসব চক্র ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে। এদেরকে খোঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে; দেশে এত পেঁয়াজ মজুদ ছিল, এ সব পেঁয়াজ কি খোয়া গেল। এরপর পেঁয়াজ আমদানী করা হচ্ছে। তাই পেঁয়াজ নিয়ে যারা ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।