বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ১৫

11

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে দু’পক্ষে দুই বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষে আহত হয়েছেন আরও ১৫জন। নিহত দু’জনের একজন হচ্ছেন মখলিছ আলী (৬৫)। তিনি উপজেলার মনোকুপা গ্রামের বাসিন্দা ও অলংকারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলু মিয়ার বড় ভাই। আর নিহত প্রতিপক্ষের অপরজন হচ্ছেন ওয়ারিছ আলী (৬০)। তিনি একই গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২৩জুন) সন্ধ্যায় মনোকুপা গ্রামের নুরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্যের ভাই সমছু মিয়া পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে উভয় পক্ষে আহতদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোকুপা গ্রামের নুরুল ইসলাম ও সমছু মিয়ার মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। আর আত্মীয়তার সুবাদে দু’পক্ষের পূর্ব পুরুষদের রেখে জাওয়া জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে গত রমজান মাসে দু’পেক্ষ দু’দফা সংঘর্ষও হয়েছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৩ জুন) রাতে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষে পার্শবর্তি নিজ গ্রামের আব্দুল আজিজের বাড়িতে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল সালিশের ব্যবস্থা করলেও জামানত দিয়ে উভয় পক্ষ কালক্ষেপণ করেন। আর এতে চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন বৃহত্তর সিলেটের সালিশ ব্যক্তিত্বদের শরণাপন্ন হন। সম্প্রতি বৈঠকের এই দিন তারিখও ঠিক করেন সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু এর আগেই মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় বাজার থেকে আসার পথে নুরুল ইসলাম পক্ষের ওয়ারিছ আলীকে হামলা করেন প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫জন হন।
গুরুতর আহত হন সমছু মিয়ার ভাই মখলিছ আলী (৬৫) ও প্রতিপক্ষের ওয়ারিছ আলী (৬০)। মুমূর্ষু অবস্থায় মখলিছ আলীকে (৬৫) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর হামলায় আহত হওয়া প্রতিপক্ষের ওয়ারিছ আলী (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১০টারদিকে একই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাতে সালিশ বৈঠকের কথা থাকলেও এর আগেই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের দু’জন নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওসি স্যারসহ সকলেই ব্যস্ত। আর ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।