কাজিরবাজার ডেস্ক :
নদীর চরিত্র বুঝে এর আশপাশে ঘরবাড়ি বা স্থাপনা নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নদীর পাড়ে এমন স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে যেন তা দ্রুত সরিয়ে নেয়া যায় বলেও জানান তিনি। এছাড়াও আর স্লুইস গেট নির্মাণ না করার নির্দেশনাসহ সড়কের টোল আদায় সহজতর করার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত টোল আদায় করা যায়। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এমন নির্দেশনা দেন। সভায় তিন হাজার ৪৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকার দেবে দুই হাজার ৬১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, বিদেশী ঋণ ৫৮১ কোটি ২০ লাখ এবং বিশ্ব ব্যাংকের অনুদান ২৬০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে একনেক সভায় সংযুক্ত হন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিবরা শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে একনেক সভায় যোগ দেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাসহ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন বা আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেক জায়গায় বড় বড় বিল্ডিং চোখের সামনে খেয়ে ফেলেছে নদী। কয়েক দিন আগে দেখলাম সুন্দর একটা নতুন প্রাইমারী স্কুল একদম তরতাজা, কিছুক্ষণের মধ্যে খেয়ে ফেলল নদী। এটা প্রায়ই হয়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মন্তব্য করলেন, আমরা যে নদীর পাড়ে ঘরবাড়ি বানাই, আমরা চিন্তা করি না কোথায় বানাচ্ছি? বানিয়ে চলে গেলেন, নদী ভেঙ্গে নিয়ে গেল। এটা ঠিক না। তার ধারণা যে, সমন্বয় করতে হবে। নদীর চরিত্র বুঝতে হবে। জেনেশুনে নির্মাণ করতে হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সব জায়গায় সবকিছু নির্মাণ করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত নুরুদ্দিন মাদবর এসএডিপি উচ্চ বিদ্যালয় গভীর রাতে নদীগর্ভে চলে যায়। এই স্কুলটি ছিল চরাঞ্চলের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশাল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ব্যথিত। তাই নদীর মোহনায় এমন ভবন নির্মাণ করতে হবে যেন দ্রুত সরিয়ে নেয়া যায়। মুন্সীগঞ্জে কিছু টিনের বাড়ি আছে দেখতে চমৎকার। বাড়িগুলো বন্যার সময় সরিয়ে নেয়া যায়। নদীর চরিত্র বুঝে মডেল ডেভেলপ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা যেন তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিতে পারি। যাতে করে গোটা বিল্ডিং না খেয়ে ফেলে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় চিঠি দেবে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। এছাড়াও সড়কের দুটি প্রকল্পে দুটি ডাকবাংলা নির্মাণের প্রস্তাব থাকলেও ডাকবাংলা প্রকল্প থেকে বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সড়কের প্রকল্পে ডাকবাংলো নয়। ডাকবাংলোর প্রয়োজন হলে সারাদেশে কতগুলো ডাকবাংলো লাগবে, সেটার জন্য আলাদা প্রকল্প নিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে আইটেম ছিল রেস্ট হাউস (ডাকবাংলো) বানানোর। ৩ কোটি টাকার ওপরে একটা রেস্ট হাউস বানানোর প্রস্তাব ছিল। প্রধানমন্ত্রী বললেন যে, রেস্ট হাউস তো অনেক আছে। এটার কতটুকু প্রয়োজন, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সংশয় ছিল। তিনি বলেন, আপনারা কাজ করেন, ঘোরেন। আপনাদের বিশ্রামের জায়গা অবশ্য প্রয়োজন। তাই তিনি বললেন, প্রকল্পের মধ্যে এরকম একটা আইটেম না দিয়ে সারাদেশের যেখানে যেখানে প্রয়োজন, একটা প্রকল্প নিয়ে আসেন। আমি একদিনেই অনুমোদন করে দেব। সুতরাং এটাকে তিনি কেটে দিয়েছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডাকবাংলোর যে প্রয়োজন ৫০/৬০ বছর আগে ছিল। ব্রিটিশরা করেছিল ১০০ বছর আগে। তখন তো রাস্তাঘাট ছিল না, গাড়িঘোড়া ছিল না। ঘোড়ায় যেত, নৌকায় যেত, মানুষকে বাধ্য হয়ে থাকতে হতো। এখন তো আর থাকতে হয় না। সকালে গিয়ে দুই ঘণ্টা কাজ করে বিকেলে চলে আসি। একটা জায়গায় বসে চা-পানি খাওয়া দরকার। একটা সুন্দর কটেজ হলেই চলে। এর জন্য বিশাল ডাকবাংলো! বলেই ফেলি, এরকম অনেক জায়গায় নতুন নতুন ডাকবাংলো হচ্ছে। এটা বোধহয় আমাদের চিন্তা করার অবকাশ আছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। খুলনার সড়কের প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটাতেও একটা বড় ডাকবাংলো ছিল। এটাও প্রধানমন্ত্রী কেটে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, টোল ফ্রি সড়কের পক্ষে নন প্রধানমন্ত্রী। তবে টোল সহজতর করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে দ্রুত টোল আদায় করা যায়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইন্টারেস্টিং একটা অনুশাসন প্রধানমন্ত্রীর আছে। আমি তার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। স্লুইস গেটের জন্য আমার এলাকার মানুষও অস্থির হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর অভিজ্ঞতা, বৃহদাংশ স্লুইস গেট কাজ করে না। এগুলো নামলে ওঠে না, উঠলে নামে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড যারা বানায়, এটা রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তাদের যথাযথ স্টাডি নেই। প্রধানমন্ত্রীর আরেকটা পর্যবেক্ষণ, ইতোমধ্যে আগের তুলনায় দেশে পানির প্রবাহ কমে গেছে। ফারাক্কা বাঁধ, জলবায়ু ইত্যাদি কারণে এখন কম পানি যায়। মাঝে মাঝে শক্তিশালী বন্যা হয়। সাধারণত কম পানি আসে। সুতরাং স্লুইস গেট বিশেষ দরকার নয় বলে মনে করেন তিনি। দেশে কত স্লুইস গেট বানিয়েছেন, কয়টা চলছে এসব বিষয়ে স্টাডি করার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে আদেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বন্যা শুধু বিপদ নয়, সম্পদও বটে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বন্যা আমাদের পলি দেয়, বন্যার পানি ধুয়েমুছে ময়লা পরিষ্কার করে নিয়ে যায়। সুতরাং বন্যার সঙ্গে আমরা যেন এডজাস্ট (সমন্বয়) করে চলি। এটাকে যেন আমরা শত্রু না মনে করি। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলো ড্রেজিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। উপকূলের নদীগুলোর মুখ পরিষ্কার হলে পানি তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে।
অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট’ প্রকল্পে খরচ হবে ৬১ কোটি ৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে প্রকল্পের আওতায় দেশে মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়াতে কয়েকটি ভ্যাসেল কেনার পরিকল্পনা করছে মৎস্য অধিদফতর। এর মাধ্যমে গভীর সমুদ্র থেকে বেশি পরিমাণে টুনা মাছ আহরণ করা যাবে। প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্র ও আন্তর্জাতিক জলসীমায় টুনা ও সমজাতীয় মাছের প্রাপ্যতা যাচাই ও আহরণে বেসরকারী বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে অনাহরিত টুনা ও সমজাতীয় মাছ আহরণের মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা এর লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে। সরকারী উদ্যোগে নতুন ফিশিং গ্রাউন্ড চিহ্নিতকরণসহ আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক চাহিদাসম্পন্ন এবং মূল্যবান প্রজাতির টুনা মাছ আহরণে দক্ষতা অর্জন করতে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে বেসরকারী খাতকে দ্রুত সম্পৃক্ত করা হবে। দেশে ও বিদেশে টুনা মাছের অনেক চাহিদা। দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক অর্থ আয় করা সম্ভব।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প রয়েছে। তার মধ্যে ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পটি ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ খরচে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটিতে সরকার দেবে ২৬৪ কোটি ৩৩ লাখ এবং ভারতীয় ঋণ ৫৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা। ‘দাউদকান্দি-গোয়ালমারী-শ্রীরায়েরচর (কুমিল্লা)-মতলব উত্তর (ছেঙ্গারচর) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে খরচ হবে ৫২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন সময়ে বাস্তবায়ন হবে। ‘খুলনা সড়ক জোনের আওতাধীন মহাসড়কে বিদ্যমান সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন কংক্রিট সেতু/বেইলি সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি ৫২৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা খরচ করবে সরকার। প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণের প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য রাস্তাটি উন্নত করছি। এটি বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশের জন্যই একটি লাভজনক প্রকল্প। উভয় দেশই ভারতের ত্রিপুরা এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে নাফ নদীর মধ্য দিয়ে যুক্ত সড়কটি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
এছাড়াও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ‘তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন থেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাট হতে বরিশাল জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা’ প্রকল্পে খরচ করা হবে ৭১২ কোটি ১২ লাখ টাকা। তার মধ্যে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটিতে খরচ হবে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। সরকারী অর্থায়নে প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পটি ২৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে না পারায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উনারা গবেষক মানুষ, গবেষণা করেন। আমি তাদের সঙ্গে বাহাসে যাব না, তর্কের বিষয় নয়। বিবিএস আমাদের নির্ভরযোগ্য সংস্থা। তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। আমাদের আস্থা তাদের কাজের ওপর আছে। তারা যে তথ্য দিয়েছে, সেটার ওপর আমরা সম্পূর্ণভাবে আস্থাশীল। আমরা মনে করি, এটাই যথাযথ। তিনি আরও বলেন, এটা যেহেতু সাময়িক বলা আছে, পরবর্তী স্টাডি (গবেষণা) করে এর চেয়ে বেটারও (ভাল) হতে পারে। আমরা সংস্থাগুলোকে সম্মান করি। তারা আরও গবেষণা করুক। আমরা পড়ব, দেখব। তবে আমরা জেনেশুনে আমাদের কাজ করছি।
সভায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরাও সভায় অংশ নেন।