কদমতলীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ী ও ননদ কারাগারে

11

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় রজবী বেগম রুজি (২৩) হত্যা মামলায় অভিযান চালিয়ে স্বামীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল রবিবার দুপুরে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত শনিবার থানায় হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের পিতা আলী হোসেন মেয়ের জামাইসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পরই তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফায়াজ উদ্দিন ফয়েজের নেতৃৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
কারাগারে প্রেরণকৃতরা হচ্ছে, দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলী এলাকার তমজিদ মিয়ার বিল্ডিং ৩য় তলায় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের পুত্র আলা উদ্দিন আহমদ (২৬), তার পিতা দেলোয়ার হোসেন (৫০), দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শাহানা বেগম (৪৭), দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে হুসনে আরা (১৮)। তারা সবাই নোয়াখালি জেলার সুধারাম থানার রামনাথপুর (আছকিবাড়ী) গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ফায়াজ উদ্দিন ফয়েজ জানান, যৌতুকের দাবিকৃত এক লাখ টাকা না পেয়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত। নিহত রুজির কন্যা সন্তান আনিশা (৩) জন্ম হওয়ার পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ২৪ জুলাই রাতে রুজিকে যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ী ও ননদ মিলে মারপিট করায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পরদিন শনিবার ২৫ জুলাই নগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রজবী বেগম রুজি (২৩) নামে গৃহবধূ ও এক সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের সদস্যরা। পরে রুজির পিতা আলী হোসেন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-২০, তারিখ-২৫/০৭/২০২০) দায়ের করলে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, শনিবার রাত ১২ টার পরে নিহত রজবী বেগম রুজির কদমতলীর বর্তমান বাসা থেকে তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ী ও ননদকে গ্রেফতারের পর গতকাল তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে নিহত গৃহবধূ রুজির লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।