স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে বেপোরায়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। করোনাকালীন সময়ে সড়কে অন্যান্য যানবাহন তুলনামূলক কম থাকায় আরও বেপোরায়া হয়ে ওঠেছেন মোটরসাইকেল চালকরা। গত শুক্রবারই বিমানবন্দর সড়কে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্র নিহত হন। এ অবস্থায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে, জনসাধারণের জীবন নিরাপদ রাখতে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগ অভিযানে নেমেছে।
গতকাল রবিবার বিভিন্ন প্রকারের যানবাহনের উপর ৯টি প্রসিকিউশন দাখিল এবং ৩৯টি যানবাহন ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ লাইন্সে প্রেরণ করা হয়। এর আগে শনিবার বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়া গতিতে চালানো মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ৪টি প্রসিকিউশন দাখিল ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের ২৭টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়।
অভিযানে মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত একজনের বেশী আরোহী, চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহার না করা, বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরসাইকেল চালানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী সাইলেন্সার ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ, মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাস খোলা এবং উল্টোপথে গাড়ি চালানোর অপরাধে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে এসব প্রসিকিউশন দাখিল ও যানবাহন ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়।
অভিযানকালে যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক প্রদর্শনকারী চালকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া মাইকিংয়ের মাধ্যমে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবাইকে আহবান জানায় পুলিশ। রাস্তা পারাপারে সতর্কতা, মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় রাস্তা পারাপার না হওয়া, ফুটপাত ব্যবহার করা, রাস্তার ডান পাশ দিয়ে চলা, রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করার বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হয়।
মহানগর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জনগণ যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্যে পুলিশ কমিশনার এবং উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এর নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।