সিলেটে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ॥ কর্মরত ডাক্তার নার্স ও টেকনিশিয়ান প্রকৃত সনদধারী কিনা খোঁজ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ

16

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সিলেটে যে সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, সেগুলোতে কর্মরত ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ানগণ প্রকৃত সনদধারী কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার এ সংক্রান্ত অফিসিয়াল চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রেরিত চিঠির স্মারক নং হলো- ১৯.০০.০০০০.০১০.০১২.০৬.২০২০/৭৬।
চিঠিতে বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সিলেট জেলা ও মহানগরের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নতকরণ’।
সিলেটের জেলা প্রশাসককে লেখা এ অফিসিয়াল চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন করোনাকালে সিলেটে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যেসব ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কাজ করছেন, তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মন্ত্রী লিখেছেন, ‘অতি সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, দেশের কয়েকটি স্বাস্থ্য সেবা নামধারী প্রতিষ্ঠান করোনা চিকিৎসার নামে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া টেস্ট রিপোর্টের মাধ্যমে জনগণকে প্রতারিত করছে। আবার অনেকে রোগীদের নিকট অনেক বেশি অর্থ আদায় করছে। ফলে স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশীদের মনে ক্ষোভ যেমন বাড়ছে, তেমনি সরকারকেও বিব্রত হতে হচ্ছে। এ কারণে এ বিষয়ে আমাদের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’
ড. মোমেন উল্লেখ করেছেন, ‘সিলেট জেলা ও মহানগরের যে সকল প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলো অনুমোদিত কিনা, এ সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান প্রকৃত সনদধারী কিনা বা তাদের পেশা পরিচালনা করার অনুমোদন আছে কিনা, এ সকল বিষয়সমূহ অনুসন্ধান জরুরি। সেই সাথে এ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদেয় চিকিৎসা সেবার বিপরীতে যে অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য কিনা এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।’
যে সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভুয়া ডাক্তার, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ানদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেছেন, এ কাজ করা গেলে সিলেটের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে।
প্রশাসক (সার্বিক) এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)-কে কল করা হলে তাঁর ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।