কাজিরবাজার ডেস্ক :
অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিশ্বে এখন শরণার্থীর সংখ্যা বেশি। ২০১৯ সালের শেষে বিশ্বে শরণার্থীর মোট সংখ্যা ৭ কোটি ৯৫ লাখ। অর্থাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশই এখন উদ্বাস্তু।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রকাশিত বৈশ্বিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে শরণার্থী ছিল ৭ কোটি ৮ লাখ আর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এসে সেটা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭ কোটি ৯৫ লাখ। সেই হিসাবে এক বছরে শরণার্থী বেড়েছে ৮৭ লাখ।
ইউএনএইচসিআরের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ তুলে বলা হয়েছে, ইতিহাসে এর আগে এত মানুষ কখনও গৃহহারা হয়নি। শরণার্থী সংকটের বর্তমান চিত্রে বোঝা যাচ্ছে তাদের দুর্দশার দ্রুত সমাপ্তির আশাও ক্ষীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব্বই দশকে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে প্রতি বছর গড়ে ১৫ লাখ শরণার্থী নিজ দেশে ফিরতে পারলেও চলতি দশকে সংখ্যাটি কমে ৩ লাখ ৯০ হাজারে এসেছে। পৌঁছেছে। এর ফলে শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সমাধান ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে।
বর্তমানে বাস্তুচ্যূত ৭ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের মধ্যে নিজ দেশের ভেতরে ৪ কোটি ৫৭ লাখ গৃহহারা হয়েছেন। বাকি ২ কোটি ৯৬ লাখ শরণার্থী দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া নিজ দেশে থাকতে না পেরে অন্য দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন ৪২ লাখ মানুষ, যারা এখন ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক ও মঙ্গোলিয়ার মোট জনসংখ্যারও বেশি সংখ্যক শিশু অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ এখন গৃহহারা। এদের মধ্যে অধিকাংশই আবার অভিভাবকহীন।