সুপার সাইক্লোন আম্পান আঘাত হানার অপেক্ষায় ॥ সারাদেশে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সর্বোচ্চ আঘাতের অপেক্ষায় ‘সুপার সাইক্লোন’ আম্পান। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শেষ রাত থেকে এর আঘাত শুরু হলেও মূলত সকালের পর থেকে প্রবল গতিবেগে আঘাত শুরু হবে। বিকেল থেকে সন্ধ্যানাগাদ দেশের উপকূল অতিক্রম করে স্থলভাগে উঠে যাবে। তখন এর গতি কমে আসবে। এদিকে আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, সুপার সাইক্লোন আম্পান আঘাত হানার সময় ৫ থেকে ১০ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হবে। এছাড়া আঘাত হানার সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ১২ হাজার আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার কথা জানান তিনি। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকাকালে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান। এদিকে আম্পান উপকূলের কাছে চলে আসায় সারাদেশে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে আম্পান উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। খুলনা থেকে চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে দেশের উপকূল অতিক্রম করার কথা বলা হলেও এর মূল তান্ডবলীলা চলবে সুন্দরবনকে কেন্দ্র করেই। ফলে সুন্দরবনের আশপাশে যেসব জেলা বিশেষ করে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঝড়ের প্রভাব পড়বে বেশি। তবে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিলেও এটি উপকূলে আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তবে ঝড়ের তীব্রতা থাকবে অনেক। পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে দেশের হাতিয়া দ্বীপ এলাকা পর্যন্ত এর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হলেও দেশের এসব সমুদ্রবন্দরকে আজ ভোর থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেয়া হবে। তারা জানায়, সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিঃ মিঃ-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২২৫ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তীব্রতার মাপকাঠিতে আম্পান ইতোমধ্যে অনেক রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। ভারতের বেসরকারী আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা স্কাইমেটের তথ্য অনুযায়ী এই শতাব্দীতে প্রাক-মনসুন পর্বে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এটাই প্রথম সুপার সাইক্লোন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রচ- গতি নিয়ে আম্পান এগিয়ে এলেও উপকূলের কাছাকাছি এলে এই ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা সামান্য কমবে, তবে তার পরেও এর বিধ্বংসী ক্ষমতাকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। তারা জানায়, স্থলভূমি থেকে শুকনো বাতাস এসে সিস্টেমটাকে কিছুটা দুর্বল করে দেয়। আম্পানের ক্ষেত্রেও তা ঘটবে। তার পরেও এটা একটা ভয়ানক মাত্রার ঘূর্ণিঝড়। যার তান্ডব আর ক্ষতি সাধনের ক্ষমতা মারাত্মক। ফলে পুরো উপকূলীয় এলাকাজুড়েই মানুষকে সাবধান থাকতে হবে।
আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, আম্পান সুপার সাইক্লোনে রূপ নিলে উপকূলে আঘাত করার সময়ের গতিবেগ কিছুটা কমে আসবে। তবে প্রবল গতিবেগে এটা উপকূলে আঘাত করতে পারে। এর ক্ষতি মারাত্মক হতে পারে। তিনি জানান, আজ সকালনাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্কেত বাড়ানো হবে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেয়া হবে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আজ বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিল্ডম করতে পারে। সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৮৫ কিঃ মিঃ-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
সতর্ক সঙ্কেত : আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেতের আওতায় থাকবে। অপর দিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়জনিত জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা : এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঝড়ো হাওয়ার সতর্কতা : তারা জানায়, ঘূর্ণিঝড় অতিল্ডমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিঃ মিঃ বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্তর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
মহাবিপদ সঙ্কেত বুধবার সকালে : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী : এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় আজ বুধবার সকাল ৬টায় মহাবিপদ সঙ্কেত জারি করা হবে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। তিনি মঙ্গলবার রাতের মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গরবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ বুধবার সকাল ৬টায় বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করবে। ওই সময়ে আর কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। মোট আশ্রয় কেন্দ্র ১২ হাজার ৭৮টি, এতে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন থাকতে পারবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তবে করোনার কারণে ২০/২২ লাখ লোককে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি। ফণি’তে ১৮ লাখ ও বুলবুলের সময়ে ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিল বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা : এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান দেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় সারাদেশে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশের পাঁচটি ফেরিঘাট দিয়ে কোন ফেরি চলাচল করবে না। ঘাটগুলো হলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি, চাঁদপুর-শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট।
চট্টগ্রাম বন্দরে সব জাহাজ গভীর সমুদ্রে : ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলা এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর র্কর্তৃপক্ষ। বন্দর জেটি থেকে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে সকল জাহাজ। বন্ধ করা হয়েছে বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং। এরইমধ্যে জারি করা হয়েছে এলার্ট-৩। সাইক্লোন আম্পানের কবল থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাকে রক্ষায় বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজের কৌশল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এদিকে, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় চলছে মাইকিং।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালের মধ্যে জেটি থেকে ১৯টি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজসমূহকে কক্সবাজারের উপকূলীয় সাগর এলাকায় নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়েছে। কর্ণফুলী চ্যানেলের মোহনা থেকে এক নম্বর জেটির ফোরশোরে অবস্থানরত নৌযানসমূহকে কালুরঘাট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদী পথের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম জানান, জাহাজের নিরাপদ অবস্থান নির্ণয় করে নেভিগেশন অক্ষুণ্ন রাখতে চ্যানেলে বয়া, লাইট হাউস এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চব্বিশঘণ্টা সচল রাখা হয়েছে। জরুরী নৌ দুর্ঘটনা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে শক্তিশালী টাগ ও সালভেজ ইউনিট। নৌ বিভাগের সকল জাহাজ শতভাগ জনবলসহ যে কোন শিপিং সার্ভিসের জন্য নিরাপদ অবস্থানে সচল রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল জাহাজের ইঞ্জিন চালু অবস্থায় থাকবে। সকল ক্রেন এবং কার্গো ও কন্টেনার ইক্যুইপমেন্ট সাইক্লোন প্রতিরোধী উপায়ে বাঁধা হয়েছে। কার্গো শেড এবং অন্য স্থাপনাসমূহ ওয়াটার প্রুপ করে বন্ধ করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও যানবাহন সুবিধাসহ বন্দর স্কুল, কলেজ ও কয়েকটি নির্দিষ্ট দালান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্দর হাসপাতালে খোলা হয়েছে জরুরী ইউনিট। এছাড়া প্রয়োজনে জরুরী সার্ভিস প্রদানের জন্য অতিরিক্ত সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করেছে কর্তৃপক্ষ।
জরুরী উদ্ধারে নৌবাহিনীর ২৫ জাহাজ : ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌঅঞ্চলে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর ২৫ জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।