যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা জরিপের তথ্য ॥ বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান এখন আরও শক্তিশালী

67

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান আরও শক্তিশালী হয়েছে। আগে যেখানে ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টে ৩৮টি দেশে যাওয়া যেত, এখন সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স বিশ্বের ২০০টি দেশের ওপর গবেষণা জরিপ চালিয়ে একটি মূল্যায়ন সূচক তৈরি করেছে। মঙ্গলবার সবশেষ তথ্য সম্বলিত সূচকটি প্রকাশ করা হয়।
যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষ এখন ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন ৪১টি দেশে। আগে এই সংখ্যা ছিল ৩৮টি দেশে। অর্থাৎ এই দেশগুলোতে যেতে হলে দেশ থেকে ভিসার জন্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না; পাওয়া যায় ভিসামুক্ত সুবিধা। শুধু পাসপোর্ট থাকলেই হয়।
সূচকটিতে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের মূল্যায়ন তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি ঘটেছে। এর আগের সূচকে বাংলাদেশের অবনমন ঘটে। এখন বাংলাদেশ ৯৪তম স্থানে অবস্থান করছে। যা আগের জরিপে ছিল ৯৭তম স্থানে। তার আগের বছর সূচকটিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৫তম।
সে হিসেবে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মূল্যায়ন ওজন বেড়েছে। নতুন সূচকে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে লেবানন, লিবিয়া ও দক্ষিণ সুদান।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) ভ্রমণ তথ্যভাণ্ডারের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবছর হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স সর্বশেষ এ সূচক তৈরি করছে। দেশওয়ারি নম্বর (স্কোর) দেয়া রয়েছে সূচকে।
এ নম্বরটি হচ্ছে একটি দেশ আগে থেকে ভিসা ছাড়া বা আগমনী ভিসা (ভিসা অন অ্যারাইভাল) নিয়ে বিশ্বের কতটি দেশে যেতে পারেন তার ওপর নির্ভর করে।
সূচক তালিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট জাপানের। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি ও সিঙ্গাপুর। জাপানের পাসপোর্টে যাওয়া যায় ১৮৯ দেশে। আগের সূচকে যা ছিল ১৮০ দেশে।
এরপর জার্মানি ও সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টে যাওয়া যায় ১৮৮টি দেশে।
আর সবচেয়ে দুর্বলতম পাসপোর্টের দেশ আফগানিস্তান ও ইরাক। দেশ দুটির পাসপোর্টে যাওয়া যায় ৩০টি দেশে। আর পাকিস্তান আছে সিরিয়া ও সোমালিয়ার ওপরে। পাকিস্তানের পাসপোর্টে যাওয়া যায় ৩৩টি দেশে।
তালিকায় ভারত আছে ৭৯তম স্থানে। দেশটির মানুষ শুধু পাসপোর্ট দিয়ে ৫৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
বাংলাদেশিরা যেসব দেশে ভিসামুক্ত সুবিধা পান:
এশিয়ার মধ্যে রয়েছে ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মাল্লীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পূর্ব তিমুর।
আফ্রিকার মধ্যে রয়েছে- কেপ ভার্দ, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গাম্বিয়া, গিনি বিসাউ, কেনিয়া, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মরিশিয়া, মোজাম্বিক, সিসিলি, সেন্ট হেলেনা, টোগো ও উগান্ডা। তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে বেনিন, রাওয়ান্ডা ও সোমালিয়া।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে- বাহামা, বার্বাডোজ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট, ত্রিনিদাদ ও ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড।
আমেরিকার মধ্যে রয়েছে- বলিভিয়া। এছাড়া ওশেনিয়া অঞ্চলের মধ্যে কুক আইল্যান্ডস, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিউই, সামাউ, টুভ্যালু ও ভানুয়াতু।