ভারতে এক দিনে ৪২১৩ জন আক্রান্ত

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতে একদিনে সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। আরও ৪,২১৩ জন নতুন করে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ গিয়েছে আরও ৯৭ জনের। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২০৬ জন। আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৬৭,১৫২ জন।
এর মধ্যেই তৃতীয় পর্বের লকডাউন বহাল থাকার কথা ১৭ মে পর্যন্ত। কিন্তু এর মধ্যে আচমকাই রোববার রাতে দূরপাল্লার যাত্রিবাহী ট্রেন চালু করার কথা ঘোষণা করেছে রেল৷ তবে আংশিকভাবে ও পর্যায়ক্রমে৷
রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই শুরু করা হচ্ছে এই যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা, যেখানে ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হবে৷ প্রাথমিকভাবে দেশের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে যাতায়াত করবে ওই ট্রেনগুলি। নয়াদিল্লি থেকে হাওড়া, মুম্বাই সেন্ট্রাল, চেন্নাই, ডিব্রুগড়, আগরতলা, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, তিরুবনন্তপুরম, মারগাঁও, আহমেদাবাদ ও জম্মু-তাওয়াই পর্যন্ত যাতায়াত করবে এই ট্রেনগুলি৷ করোনার লক্ষণ নেই, শুধু এমন ব্যক্তিরাই যাতায়াত করতে পারবেন। টিকিট পাওয়া যাবে সোমবার বিকেল চারটে থেকে, শুধু আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে৷ যারা এই ট্রেনগুলিতে যাতায়াত করবেন, তাদের প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং ট্রেনে ওঠার আগে থার্মাল চেকিংয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে৷ সূত্রের খবর, এই বিশেষ ট্রেনগুলির সব কোচই হবে বাতানুকূল, যার ভাড়া হবে রাজধানী এক্সপ্রেসের সমতুল৷
সাত সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রেলের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের পঞ্চম দফার ভিডিও বৈঠক হওয়ার কথা। তার কয়েক ঘণ্টা আগে লকডাউন চলাকালীনই রেলের এই ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত। নবান্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, লকডাউনের মধ্যে হাওড়ায় ট্রেন আসবে, অথচ রাজ্য প্রশাসনকে সে ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, করোনার লক্ষণ থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করানো, বাকিদের হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকী, এ দিন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ অফিসারদের সঙ্গে ক্যাবিনেট সচিবের বৈঠকেও বিষয়টি জানানো হয়নি।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, এর ফলে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা ভেবেই আমরা শিউরে উঠছি। কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।