কাজিরবাজার ডেস্ক :
আট সপ্তাহ আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইতালি লকডাউন করা হয়। করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশটি এ পদক্ষেপ নেয়। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমতে থাকায় অবশেষে লকডাউন শিথিল করেছে তারা। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে জাপানে জারি করা জরুরী অবস্থার বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিলের আমাজন বনের মধ্যে অবস্থিত সবচেয়ে বড় শহর মানাউশে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে করোনা সঙ্কট। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চলা ওই শহর কর্তৃপক্ষকে খুঁড়তে হচ্ছে গণকবর। আবার জার্মানিতে গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুহার কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার নাগাদ বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭২৯ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৪ জন। সোমবার ইতালির রেস্তরাঁগুলো খোলার অনুমতি পেয়েছে। তবে সেখানে বসে খাওয়া বা পান করা যাবে না। খাবার নিয়ে বাসায় বা অফিসে খেতে হবে। পার্কগুলো খুলছে আবারও। মানুষ বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করার অনুমতি পেয়েছে। মাস্ক পরা অবস্থায় আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন তারা। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান ফের চালু হচ্ছে। এতে সর্বাধিক ১৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। কিছু ব্যবসাও সচল হতে যাচ্ছে। লকডাউন শিথিল হওয়ায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষ কাজে যোগ দিয়েছেন। লকডাউনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চলতি বছর ইতালির অর্থনীতি ৯ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই আবার চালু না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা দেশটির অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৭১৭ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৮৮৪ জনের। করোনার কারণে ইউরোপের সর্বাধিক এবং বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে।
জরুরী অবস্থার সময় বাড়াল জাপান ॥ করোনা প্রতিরোধে জাপানে জারি করা জরুরী অবস্থার মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকে জানায়, শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৭৭ হাজার এবং মারা গেছেন ৪৮৭ জন। চলতি সপ্তাহের বুধবার জরুরী অবস্থার সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। নতুন করে জরুরী অবস্থার সময়সীমা বাড়ানোর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেন আবে। এবার জাপানে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ফের সচল করেছে সরকার। সংক্রমণের ঝুঁকি কম এমন স্থান, যেমন- পার্কগুলো চালু করে দেয়া হতে পারে। জরুরী অবস্থা চলাকালীন গবর্নররা জনগণকে বাড়িতে অবস্থান করতে এবং ব্যবসা বন্ধ রাখতে বলেছেন। করোনার কারণে ভয়াবহ মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত সপ্তাহে জাপানের পার্লামেন্টে এক দশমিক এক ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে।
আমাজনে খোঁড়া হচ্ছে গণকবর ॥ ব্রাজিলের আমাজন বনের মধ্যে অবস্থিত সবচেয়ে বড় শহর মানাউশে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে করোনা সঙ্কট। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে, শহর কর্তৃপক্ষকে খুঁড়তে হচ্ছে গণকবর। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষের। দেশটির আমাজোনাস প্রদেশের রাজধানী মানাউশ হতে যাচ্ছে পরবর্তী গুয়াকুইল। সম্প্রতি ইকুয়েডরের ওই শহরের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে করোনায় আক্রান্তদের মৃতদেহ। করোনা সংক্রমণে সামনের সারিতে রয়েছে আমাজোনাস। স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকেও রয়েছে অনেক পিছিয়ে। সব মিলিয়ে করোনা আমাজনের মাঝে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। এপ্রিলে মানাউশে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মৃত্যুর হার ৫৭৮ শতাংশ বেড়ে যায়। তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা রোগী বলে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ভিন্নমত দিচ্ছেন। কারণ সেখানে করোনা পরীক্ষার হার খুবই কম, তাই প্রকৃত সংখ্যা জানার উপায় নেই। মানাউশ ব্রাজিলের সপ্তম বড় শহর। জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। প্রায় বিচ্ছিন্ন ওই শহরে অনেক আদিবাসীও বসবাস করেন। দারিদ্র্য, অপুষ্টি ও স্থানচ্যুতি মিলিয়ে করোনা তাদের অবস্থা সঙ্গীন করে তুলেছে।
জার্মানিতে আরও ৪৩ মৃত্যু ॥ গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে জার্মানিতে মৃত্যু কমেছে। সোমবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, একদিনের হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনগুলোর তুলনায় কমতে দেখা গেছে। গত ২৫ মার্চের পর দেশটিতে প্রথমবার মৃত্যুর সংখ্যা সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দেশটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক সংস্থা রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩ জন। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৬৯২ জন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। নতুন করে সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ৬৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই হাজার দুই শ’ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৬৮ হাজার ৫৯৯ জন। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬ হাজার ৮৬৬ জন। ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে এক লাখ ৩২ হাজার সাত শ’ জন। করোনার এ্যাক্টিভ কেস ২৬ হাজার ৯৮। এক হাজার ৯৭৯ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
আক্রান্ত-মৃত্যু কমছে যুক্তরাষ্ট্রে ॥ গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২ দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে আরও ২৫ হাজার ৫০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনেই মারা গেছেন আরও এক হাজার ৩১৩ জন। গত কয়েকদিনের তুলনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এখন কমতে শুরু করেছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৭৪৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৯১ জনের। তার আগের দিনের হিসাব অনুযায়ী, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার সাতজন এবং মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৮৯৭ জনের। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭০। সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ৬৮ হাজার ৬৮২ জনের। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক লাখ ৭৮ হাজার ৫৯৪ জন। দেশটিতে করোনার এ্যাক্টিভ কেস ৯ লাখ ৪১ হাজার ২৭০। ১৬ হাজার ১৩৯ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
স্লোভেনিয়ায় মৃত্যু বেড়ে ৯৬ ॥ স্লোভেনিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ জানিয়েছে, করোনায় নতুন করে কোন আক্রান্ত নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬ জনে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৪১ জন। মোট এক হাজার ৪৩৯ জনের শরীরে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। জানা গেছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র অস্ট্রিয়ার মতো স্লোভেনিয়াতেও জরুরী অবস্থা তুলে নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এতদিন বিশেষ অনুমতি ছাড়া এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াতের ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল গত বৃহস্পতিবার থেকে তা শিথিল করা হয়েছে। পাশাপাশি সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে কফিশপ, বার এবং রেস্তরাঁ খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও গত ২৯ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন মিউজিয়াম, আর্ট গ্যালারি, থিয়েটার, লাইব্রেরিও চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু স্পেনে ॥ আংশিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করতে যাচ্ছে স্পেন। সোমবার থেকেই দেশটিতে বেশ কিছু ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দেশটিতে গত ৮ সপ্তাহ ধরে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা ছিল। গত ১৪ মার্চ দেশজুড়ে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়। ধীরে ধীরে সব বিধি-নিষেধ শিথিল করা হবে। দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা এবং বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে। পুরো স্পেনজুড়েই গণপরিবহনে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সোমবার থেকে সব ধরনের গণপরিবহনে মাস্ক পরতে হবে। যেসব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করা যাবে সেগুলোকে কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।
বেলজিয়ামে মৃত বেড়ে ৭৮৪৪ ॥ করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন সাত হাজার ৮৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হারের হিসাব করলে বেলজিয়ামের অবস্থান সবার ওপরে। দেশটিতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যা বিশ্বের মৃত্যুহারে সর্বোচ্চ। দেশটির জনসংখ্যা এক কোটি ১৫ লাখ। তাদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার। প্রধানমন্ত্রী সোফি উইলমস বলেছেন, কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যু ও আক্রান্ত নিয়ে সরকার সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে তথ্য সরবরাহ করবে। অনেকে বলছেন, করোনা নিয়ে তথ্য গোপন না করার কারণে দেশটিতে মৃত্যু বেশি। সরকারী হিসাব অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে কেয়ার হোমে। কেয়ার হোমে যারা মারা গেছেন তাদের মাত্র ১৬ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত। এর অর্থ হলো বাকি সাড়ে ৩ হাজারের বেশি রোগী সন্দেহভাজন করোনা রোগী। গত ১৮ মার্চ থেকে দেশটি লকডাউন। অপ্রয়োজনীয় সব ব্যবসা বন্ধ। মানুষ ঘরেই রয়েছেন। শুধু জরুরী কাজে নিয়োজিত কর্মীরা বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন। প্রত্যেক পরিবার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে একজনের। তারপরও মৃত্যু বাড়ছে।
আমিরাতে মৃত বেড়ে ১২৬ ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রাণঘাতী করোনায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় প্রাণ গেল মোট ১২৬ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আমিরাতে আরও ৫৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৬৩। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৬৩ জন। আমিরাতে এ পর্যন্ত মোট ১২ লাখ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশটিতে করোনায় সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দেশব্যাপী জীবাণুনাশক স্প্রে অব্যাহত রয়েছে। পবিত্র মাহে রমজানে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জনসাধারণের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে।
সৌদিতে আরও ১৫৫২ আক্রান্ত ॥ মহামারী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ১৫৫২ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর এতে মৃত্যু হয়েছে আরও ৮ জনের। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮৪ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৬৯ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা ৪১৩৪ জন। ২২ হাজার ৬৯৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তার মধ্যে ১৩৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বন্দরনগরী জেদ্দায় ২৪৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মক্কা মোকাররমায় শনাক্ত হয়েছে ২২১ জন, জুবাইল ১৫৬ জন ও দাম্মামে ১৫০ জন। আক্রান্তের মধ্যে ৮১ শতাংশ প্রবাসী, ১৯ শতাংশ সৌদি নাগরিক। আর ১৬ শতাংশ নারী এবং ৮৪ শতাংশ পুরুষ।