কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের ৫৭ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো সংবাদে।
ফরিদপুর: স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, চমশা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ৬২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ফারুক হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪০ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন মনোনীত মুফতি আব্দুস সালাম পেয়েছেন ৩ ভোট।
রাজশাহী: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল নির্বাচিত হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আক্তার পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল পেয়েছেন (তালগাছ) ৭ ভোট এবং আফজাল হোসেন (আনারস) ৪ ভোট পেয়েছেন।
খুলনা: খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ হারুনুর রশিদ পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
শেখ হারুনুর রশীদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা পেয়েছেন ৪০৩ ভোট।
পটুয়াখালী: আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৫৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত আনারস প্রতীকের খলিলুর রহমান মোহন পেয়েছেন ৪৭১ ভোট।
পঞ্চগড়: স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখ চশমা প্রতীকে ২৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী মনোনীত আবু তোয়বুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩১ ভোট।
কিশোরগঞ্জ: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এডভোকেট মো. আশরাফ উদ্দিন পেয়েছেন ২৫৭ ভোট।
রাজবাড়ী: আওয়ামী লীগ প্রার্থী সফিকুল মোরশেদ আরুজ নির্বাচতি হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী দীপক কুন্ডু পেয়েছেন ভোট ১৩৮ ।
সাতক্ষীরা: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম ৬০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুল্লাহ ঝড়ু পেয়েছেন ৪৫১ ভোট।
নীলফামারী: আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মমতাজুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন মটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট।
হবিগঞ্জ: টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। ৯৬১ ভোট পেয়ে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আবু নাইম মো. শিবলী খায়ের পেয়েছেন ৭৭ ভোট। অপর প্রার্থী এডভোকেট নুরুল হক পেয়েছেন ৪৩ ভোট।
ঝিনাইদহ: স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ আনারস প্রতীকে ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কনক কান্তি দাস চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট।
গাইবান্ধা: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক তালগাছ প্রতীক ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতাউর রহমান আতা পেয়েছেন (ঘোড়া প্রতীক) ৫২৩ ভোট।
মেহেরপুর: সাবেক ছাত্র নেতা এডভোকেট আব্দুস সালাম কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত গোলাম রসুল (আনারস) পেয়েছেন ১১৫ ভোট।
সুনামগঞ্জ: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খায়রুল কবির রুমেনকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (ঘোড়া) খায়রুল কবির রুমেন পেয়েছেন ৬০৪। আর নির্বাচিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নুরুল হুদা মুকুট মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৬১২ ভোট।
মানিকগঞ্জ: আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন বিজয়ী হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ফজলুল হক রিপন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।
দিনাজপুর: জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ মো. দেলওয়ার হোসেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকের প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২২৬ ভোট। এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থীত চশমা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী পেয়েছেন ৭৮ ভোট।
নরসিংদী: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মতিন ভূইয়াকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনির হোসেন ভূইয়া বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মতিন ভূইয়া পেয়েছেন ৩৫০ ভোট।
রংপুর: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬০১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট।
বগুড়া: পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ডা. মকবুল হোসেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনারস প্রতীকে ডা. মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৮৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৭২১।
নাটোর: আওয়ামীলী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান (চশমা মার্কা) ৫৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির নুরুন্নবী মৃধা (ঘোড়া মার্কা) পেয়েছেন ২৩৯ ভোট।
নেত্রকোনা: এডভোকেট অসীত সরকার সজল বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সজল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৯৩৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আসমা সুলতানা আশরাফ পেয়েছেন ২১১ ভোট।
নড়াইল: জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস (আনারস) ২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু (মোটরসাইকেল)। তিনি পেয়েছেন ১৭৮ ভোট। এছাড়া সাবেক
জেলা পরিষদের প্রশাসক লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ
মো. সুলতান মাহমুদ (চশমা) পেয়েছেন ১১৩ ভোট।
যশোর: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল ৯৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্প ধারার প্রার্থী মারুফ হাসান কাজল পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট।
ময়মনসিংহ: অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান (আনারস) পেয়েছেনে এক হাজার ১৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (চশমা) আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট।
কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাহিনুল হক মার্শাল।
চাঁদপুর: টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী। মোবাইল ফোন প্রতীকে তিনি পেয়েছেন সাতশ ৩৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ব্দী জাকির হোসেন প্রধানীয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচশ ২২ ভোট।
এছাড়া ২৬ জেলায় চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জেলাগুলো হলো- কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, ঢাকা, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, পিরোজপুর, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট।