ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের গোয়াবিল থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত মাথার খুলি ও কঙ্কালের পাশ থেকে একটি লুঙ্গি ও গেঞ্জি পাওয়া গেছে। এগুলো ২৩দিন আগে নিখোঁজ আবুল হোসেনের বলে স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার ধারণা করছে।
আবুল হোসেন (৫০) উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সৈদাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে।
বুধবার ১৬ নভেম্বর সকালে উদ্ধারকৃত কঙ্কালের হাড়গোড়গুলো পাঠানো হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে। কঙ্কালের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে বিলের পাড়ে মাথার খুলিসহ মানুষের বেশ কিছু হাড়গোড় দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভীড় জমান। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে ওইদিন সন্ধ্যায় গোয়া বিলের পাড় থেকে কঙ্কালগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আবুল হোসেন গত ২১ অক্টোবর ভোরে গোয়া বিল সংলগ্ন একটি উন্মুক্ত জলাশয়ে জ্বাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। ওইদিন বেলা শেষে আবুল হোসেন আর বাড়ি ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে থানায় বিষয়টি জানানো হয়। এ বিষয়ে গত ২ নভেম্বর নিখোঁজ আবুল হোসেনের স্ত্রী সবতুন বেগম বাদী হয়ে গোয়া বিলের পাহারাদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আমল গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ৭ নভেম্বরের মধ্যে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে নির্দেশ দেন।
আদালতের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গোয়া বিলের পাশে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরার অপরাধে আসামিরা আবুল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করে।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম ফাত্তাহ মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, মামলাটি তদন্ত চলছে। বিষয়টি রহস্যজনক। উদ্ধারকৃত কঙ্কালটি নিখোঁজ আবুল হোসেনের কি না, বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেষ্টের আবেদন করা হবে।