মৌলভীবাজারে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১

7

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার জেলায় নতুন করে ৬ জন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন কুলাউড়া থানা পুলিশের দুই সদস্য, কুলাউড়া কাদিপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের একই পরিবারের দু,জন।
২৬ এপ্রিল রবিবার রাতে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. তাউহীদ আহমদ এতথ্য জানিয়েছেন।
বড়লেখা উপজেলার বড়লেখা থানায় এক উপ-পরিদর্শকের স্ত্রী ও শ্রীমঙ্গলের এক চা শ্রমিকের সন্তান মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এনিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জন।
কুলাউড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুল হক (২৬এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টায় জানান, কুলাউড়া থানার বিপরীতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ১৮জন পুলিশ সদস্য এক সাথে বসবাস করতেন। ওই কমপ্লেক্সে আগে ১ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন, পরে ১৭ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করলে আরও দুই পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের একই পরিবারের দুজন করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। ওই পরিবারে দুইদিন আগে এক জন ৬০ বছর বয়সী করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছিল।
এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি একজন ঢাকা ফেরত শিক্ষার্থী ও শ্রীমঙ্গলের একটি চা বাগানের বাসিন্দা।’ এছাড়া তিনি গত (২২এপ্রিল) ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে শ্রীমঙ্গল এসেছেন এবং তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
‘তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাবস্থায় আমরা গত ২৩ তারিখ আক্রান্ত রোগীর স্যাম্পল সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম এর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমরা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করেছি।
শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমরা আক্রান্ত রোগীর বাসা লকডাউন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা ভালোই আছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ এপ্রিল শ্রীমঙ্গলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তার বয়স ২৬ বছর।’
প্রসঙ্গত. করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট দুজন মারা যান। মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে,জেলার রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামে গত ৪ এপ্রিল সাঞ্চু মিয়া নামে এক মুদি দোকানি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। মূলত রাজনগরের এই রোগী জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। তবে তিনি কিভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন তার কোন হদিস মিলেনি ।
এরপর গত ১৩ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ মফচ্ছিল আলী।
তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন এবং তিনি ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার দেহে করোনার উপস্থিতি মিলে নমুনা পরীক্ষায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর তাকে মৌলভীবাজারের তালিকায় রেখেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১১ জন।’