কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বেনাপোল হয়ে যারা ফিরছেন তারা সরাসরি বাড়িতে যেতে পারবেন না। তাদের থাকতে হবে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। কোয়ারেন্টিন সেন্টার দুটি হলো বেনাপোল পৌর এলাকার বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার ও ট্রাক টার্মিনাল। সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৪৪ জনকে ওই দুটি সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাদেরকে ১৪ থেকে ২০ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে বেনাপোলে এই প্রথম এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফিরে আসা যাত্রীদের পাসপোর্ট উপজেলা প্রশাসনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন নারী, ১ জন শিশু ও ২৮ জন পুরুষ রয়েছে।
ভারত থেকে আসা যাত্রীদের সরকারি ব্যাবস্থাপনায় খাওয়া দাওয়াসহ বিশেষ নিরাপত্তা ও দেখভাল করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকি ও আতঙ্ক। ভারত সরকারের ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণায় সে দেশে দোকানপাট, বাস-ট্রেনসহ সব যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে অনেক বাংলাদেশি আটকা পড়েন। স্থলপথে বেনাপোল ইমিগ্রেশন খোলা থাকায় অনেক কষ্টে বিভিন্ন উপায়ে দেশে ফিরছেন কিছু যাত্রী।
তিনি আরও বলেন, এতদিন দেশে ফেরা যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে-করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা হিসেবে বেনাপোলে দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার খোলা হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. বিচিত্র মল্লিক জানান, এখন পর্যন্ত যে সমস্ত বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দেশে আসছিল তাদের সিল মেরে ছেড়ে দেওয়ার সময় বলা হচ্ছিল ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। কিন্তু এলাকায় ফিরে অনেকে নির্দেশ মানেননি। যে কারণে আজ থেকে ভারত থেকে ফিরে আসা প্রত্যেক পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বেনাপোলে স্থাপিত দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়। এখান থেকে সন্দেহভাজনদের জেলা সদরের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।