কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভারতের নয়াদিল্লীতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৩ বাংলাদেশী আজ (শনিবার) দেশে ফিরছেন। তারা অন্যান্য ভারতীয়ের সঙ্গে উহান থেকে ফেরার পর দিল্লীতেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এদিকে শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আগত এক যাত্রীকে করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ তথ্য প্রকাশ করেন পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান। তিনি আরও বলেছেন- বিমানবন্দরে কোন যাত্রীকেই হয়রানি বা অসহযোগিতা করা হচ্ছে না। যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর ২৩ বাংলাদেশী শনিবার দেশে ফিরছেন। বৃহস্পতিবার তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী এবং তাদের সঙ্গে একটি ছোট্ট বাচ্চাসহ একটি পরিবার রয়েছে। আজ বিকেলে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকার উদ্দেশে দিল্লী ত্যাগ করবেন। তাদের আনতে পুরো খরচ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। এক শিক্ষার্থী একটি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন ‘আমরা শুক্রবার হেলথ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেয়ে যাব এবং আশা করছি, শনিবার ঢাকার উদ্দেশে দিল্লী ত্যাগ করতে পারব। ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে অন্য ভারতীয়দের সঙ্গে এই ২৩ বাংলাদেশীকে উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর তাদের দিল্লীতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর আগে ৩১২ বাংলাদেশী নাগরিককে চীন থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। বাকিদেরও ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। দেশে ফিরে আসতে তারা নাম নিবন্ধন করেছেন।
এদিকে শুক্রবার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে করোনা সন্দেহে একজনকে সরাসরি পাঠানো হয় উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। এ বিষয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান বলেন, ওই যাত্রীর শরীরে তাপমাত্রা অন্যান্য লক্ষণ থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি তাকে ওই হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
ওই যাত্রী কোন দেশ থেকে কোন ফ্লাইটে এসেছেন প্রশ্ন করা হলে পরিচালক তা পরে জানাবেন বলে জানান। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের করোনার হুমকি দিয়ে নানা ধরনের ফায়দা লুটার অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান বলেন, আমাদের কাছে এখনো কেউ এ ধরনের অভিযোগ করেনি। যদি পাই তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিমানবন্দরে কর্মরতদের মাস্কসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট দেয়া হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যতটুকু সম্ভব কর্মরতদের মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে।