কাজিরবাজার ডেস্ক :
সৌদি আরবে অন্তত ২০ জন প্রিন্সকে আটক করা হয়েছে। সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মিডলইস্ট আই। এর আগে শনিবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তিন প্রিন্সকে আটক করার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে শনিবার রাতে অন্তত ২০ প্রিন্সকে আটকের কথা জানায় মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ২০ জন প্রিন্সকে আটক করার তথ্য তাদের কাছে থাকলেও এখন পর্যন্ত তারা চারজনের নাম জানতে পেরেছে। প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ, প্রিন্স আহমেদের ছেলে প্রিন্স নায়েফ বিন আহমেদ বিন আবদুল আজিজ, সাবেক যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও তার সৎ ভাই নাওয়াফ বিন নায়েফ।
এদের মধ্যে প্রিন্স নায়েফ বিন আহমেদ সৌদি আরবের স্থল বাহিনী গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের প্রধান। এখন পর্যন্ত যারা আটক হয়েছেন তাদের মধ্যে তিনিই সৌদি আরবের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় পদে রয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজপরিবারের সদস্যদের আটকের পর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সব প্রিন্সদের তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে টুইট করতে বলেন। ইতোমধ্যে তিনজন প্রিন্স তা করেছেনও।
এদিকে আঞ্চলিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ আটক প্রিন্সদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ এনেছেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান নিজেই প্রিন্সদের গ্রেপ্তারে জারি করা আদেশে সই করেন। এ সময় বাদশাহর মানসিক অবস্থা ভালো ছিল বলেও দাবি করেছে ওই সূত্র। গ্রেফতারকৃত প্রিন্সদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে তাদের।
২০১৭ সালে সৌদি রাজপরিবারের অনেক সদস্য, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীকে রিয়াদের রিৎস-কার্লটন হোটেলে আটকে রাখা হয়, কারণ সৌদি যুবরাজ তাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে যুবরাজ ঘোষণার পর থেকে মোহাম্মদ বিন সালমানকে অঘোষিত শাসক বলে মনে করা হয়।
২০১৬ সালে যখন চরম রক্ষণশীল সৌদি আরবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, তখন সেটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সাল নাগাদ ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ আরো বেশ কিছু কেলেঙ্কারির ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি।