স্থানীয় ক্লিনিকের সমস্যা দূর হউক

13

সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক। এই ক্লিনিকের মাধ্যমে সারা দেশে মা ও শিশুদের বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। সরকারের এই জনস্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম জাতিসংঘ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংকসহ বহির্বিশ্বে বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক সংকটে পড়েছে। দক্ষ লোকবলের অভাব যেমন আছে, তেমনি আছে প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব। ডায়াবেটিস মাপার স্ট্রিপ নেই, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র নেই অনেক জায়গায়। লোকবলের অভাব তো আছেই, কোনো কোনো কমিউনিটি ক্লিনিক এমন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে পৌঁছাতে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১২-২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৭-২০১৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের পেছনে বাজেট বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, রোগী বেড়েছে; কিন্তু সেই তুলনায় সেবার মান বাড়েনি। তাঁদের মতে, প্রতিটি ক্লিনিকেই পাঁচ থেকে সাতটি করে সংকট বা সমস্যা রয়েছে। এসব সংকট সব ক্লিনিকে একই ধরনের। এগুলোকে নিয়মিত সংকটও বলা যায়। এর বাইরে অনিয়মিত সমস্যা তো আছেই। এগুলো সমাধান না করলে কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ থেকে মানুষ প্রত্যাশিত সেবা কখনোই পাবে না। এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার সমাধান কেন্দ্র থেকে সরকারের উদ্যোগে করে দিতে হবে, আর কিছু সমস্যা স্থানীয় কমিউনিটিকে সক্রিয় করে সমাধানের পথ তৈরি করে দিতে হবে। কোনো কোনো ক্লিনিকে সাধারণ যন্ত্রপাতিও নেই। ক্লিনিকের সঙ্গে স্থানীয় কমিউনিটিকে যত বেশি সংযুক্ত ও সক্রিয় করা যাবে ততই সমস্যা কেটে যাবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি। তাহলেই নিশ্চিত হবে স্বাস্থ্যসেবা। সরকারের একটি শুভ উদ্যোগ জনগণের কাজে লাগবে।