চার কিংবদন্তির শেষ বিশ্বকাপ

53

স্পোর্টস ডেস্ক :
চার বছর পরপর বিশ্বকাপ আসে আর যায়। বিশ্বকাপ শেষে আক্ষেপ বাড়িয়ে বিদায় নেন একেকজন কিংবদন্তি ফুটবলার। এবারো তার ব্যত্যয় ঘটবে না। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষে চিরদিনের জন্য বুট জোড়া তুলে রাখবেন অনেকে। সম্ভাব্য সেই তালিকায় আছেন অনেক বিখ্যাত ফুটবলার। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লুইস সুয়ারেজদের মতো তারকা খেলোয়াড়দেরও হতে পারে এটি শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু তা এখনো অনিশ্চিত।
তবে ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গেছে চার কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের জন্য রাশিয়ার আসরটাই হয়ে থাকবে শেষ বিশ্বকাপ। ফিফা ডটকমে প্রকাশিত এই চার কিংবদন্তিকে নিয়ে লেখা হলো এই প্রতিবেদন।
রাফায়েল মার্কেজ (মেক্সিকো) : আসন্ন বিশ্বকাপটা খেললেই পাঁচ বিশ্বকাপ খেলার গৌরবময় ছোট একটা তালিকায় ঢুকে পড়বেন মার্কেজ। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন মাত্র দুজন ফুটবলার। মার্কেজের স্বদেশি আন্তনিও কারভাহাল ও জার্মানির কিংবদন্তি লোথার ম্যাথিউস। রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য মেক্সিকোর প্রাথমিক দলে আছেন ৩৯ বছর বয়সী মার্কেজ।
মার্কেজ ক্লাব ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক আগে। এবার বিশ্বকাপ শেষে ইতি টানবেন ২২ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের। ১৯৯৮ সালে মার্কেজ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকলেও বয়স কম থাকায় একটি ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি। সেই সময় তার বয়স ছিল ১৯ বছর।
মার্কেজের বিশ্বকাপ অভিষেক হয় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ২০০২ জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে মেক্সিকো জিতেছিল ১-০ গোলে। এরপর টানা ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ খেলেছেন এই মেক্সিকান কিংবদন্তি। চার বিশ্বকাপ মিলিয়ে মার্কেজ খেলেছেন ১৬ ম্যাচ।
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (স্পেন) : ২০১০ বিশ্বকাপে ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গোল করে স্পেনকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। স্পেনের সোনালি প্রজন্মের মিডফিল্ডার এবার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলবেন রাশিয়ায়। ইনিয়েস্তার বিশ্বকাপ অভিষেক হয় সৌদি আরবের বিপক্ষে। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে স্পেন জিতেছিল ১-০ গোলে।
কয়েক দিন আগে বার্সেলোনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ইনিয়েস্তা। এবার স্পেনের জার্সিতেও শেষ ম্যাচ খেলবেন ৩৪ বছর বয়েসী ‘দ্যা ইল্যুশনিস্ট।’ আগের তিন বিশ্বকাপ মিলিয়ে ইনিয়েস্তা খেলেছেন মোট ১০ ম্যাচ।
টিম কাহিল (অস্ট্রেলিয়া) : অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের নাম টিম কাহিল। হোক তা বিশ্বকাপ বা ক্লাব ফুটবল। এবারো আসন্ন বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মূল স্পটলাইট থাকবে কাহিলের উপর। ৩৮ বছর বয়সেও অস্ট্রেলিয়ানদের বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি। কাহিলের বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে জাপানের বিপক্ষে। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে ক্যাঙ্গারুরা জিতেছিল ৩-১ গোলে। এরপর টানা দুই বিশ্বকাপে কাহিল খেলেছেন ৮ ম্যাচ। গোল করেছেন ৫টি। যার মধ্যে গোল আছে চিলি ও ব্রাজিলের মতো দলের বিপক্ষেও।
হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো (আর্জেন্টিনা) : ‘আমার দেখা সবচেয়ে বুদ্ধিমান খেলোয়াড় মাশ্চেরানো।’ সাবেক প্রিয় শিষ্য নিয়ে এমন প্রশংসাই করেছিল বার্সেলোনার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা। মাশ্চেরানো এমন একজন ফুটবলার যে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত দলের জন্য লড়াই করে।
মাশ্চেরানোর বিশ্বকাপ অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে আইভরিকোস্টের বিপক্ষে। এরপর টানা দুই বিশ্বকাপ খেলেছেন এই ৩৩ বছর বয়েসী আর্জেন্টাইন। ম্যাচ খেলেছেন ১৬টি। আসন্ন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।