নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন

14

রোজা আসার আগেই বাজারে তার আঁচ পড়তে শুরু করেছে। নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন করার পাঁয়তারা চলছে। রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম না বাড়িয়ে রোজার আগেই বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তুলে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত মুনাফা। অবস্থাদৃষ্টে মনে করা যেতেই পারে যে বাজার সিন্ডিকেট এবার নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট বছর বছর তাদের কৌশল পাল্টায়। উদাহরণ হিসেবে গত বছরের বাজার চিত্র তুলে ধরা যেতে পারে। গত বছর রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন পণ্যসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম রোজার আগেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারও যে তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে তার নমুনা দেখা যাচ্ছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রজমান এলেই ব্যবসায়ীরা কোনো একটি অতি প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য টার্গেট করে দামে কারসাজি করেন। হয় কোনো বছর ভোজ্য তেল অথবা কোনো বছর চিনি। রমজান মাস এলে অতি মুনাফা করতে তাঁরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। রমজানে বিপুল মজুদ রয়েছে এবং দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে সরকারকে আশ্বস্ত করার দেড় সপ্তাহের মধ্যেই চিনির দাম লাগামহীন বাড়িয়ে চলেছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। কয়েক সপ্তাহ আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, চিনির গুদামজাত পরিস্থিতি ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে তদারকি না করলে রিফাইনারি ও মিল মালিকরা সিন্ডিকেট তৈরি করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উৎপাদন কমিয়ে সংকট সৃষ্টি এবং অনৈতিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন। বাস্তবেও এখন তা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। চিনির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা সব সময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। তাঁরা জানেন যে যতই মুনাফা করুক, সরকার তাঁদের কিছুই করতে পারবে না। তাই তাঁরা এই অতি মুনাফা করে থাকেন। তাঁদের মতে, সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর উচিত এখনই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এপ্রিলের শেষের দিক থেকে রোজা শুরু হতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্যবারের মতো তারা প্রস্তুত। বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।