জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মুক্তিযোদ্ধা সহ ২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শফাত হুসেন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরে করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি জমা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে প্রতিপক্ষের বিরোধ চলে আসছে। (১০ ফেব্রয়ারি) সোমবার ঘর মেরামত কাজের জন্য বসত বাড়ীর পূর্ব পাশ হতে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আলী আহমদের স্ত্রী কিছু মাটি কেটে নিয়ে আসায় প্রতিপক্ষের লোকজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারে প্রবেশ করে তাদের উপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা হলেন- খারুবিল গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মাহবুব হুসেন (৪০), জাকারিয়া (৩৮), কিবরিয়া (৩২), ইয়াহিয়া (২৮), নোমান (২২), একই গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে বশির আহমদ (৫৫) এবং বিরাইমারা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪৮)।
হামলায় আহত হন- জৈন্তাপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছইদ আলী ও তার ছেলে আলী আহমদ উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা মুক্তিযুদ্ধাকে প্রাণে মারার লক্ষ্যে দেশিয় অস্ত্র শাবল সুলফি দিয়ে আঘাত করে। বাড়ীর শিশু মহিলাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের কবল থেকে গুরতর আহতবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ছইদ আলী ও তার ছেলে আলী আহমদকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এদিকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনের অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে আলী আহমদ কিছুটা সুস্থ হলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছইদ আলী এখন সঙ্গাহীন রয়েছেন। অপরদিকে চিকিৎসা কাজে ব্যস্থা থাকায় (১১ ফেব্রয়ারি) মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শফাত হুসেন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এবং আহতরা চিকিৎসাধীন থাকায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা হিসাবে রেকর্ড করে (যাহার নং-০৫, তারিখ: ১১-০২-২০২০)।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানান জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্ধরা। তারা আরও বলেন এই ধরনের হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পেলে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষে তীব্র আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বনিক বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে তদন্তপূর্বক অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করেছি এবং আসামীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। আশা রাখি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।