মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুশিয়ারা নদী পারাপার হচ্ছেন মানুষ। যদিও নদীতে ফেরি রয়েছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর উপর শত কোটি টাকা ব্যয়ে রাণীগঞ্জ সেতু নির্মাণাধীন আছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি আধা ঘন্টা পরপর ফেরিটি এপার থেকে ওপারে ছেড়ে যায়। এর মধ্যে অনেক সময় আরো বেশি সময় লাগে। তাই কম সময়ে নদী পারাপার হতে মানুষ খেয়া নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেন। ফেরি ছাড়াও ২টি ইঞ্জিন চালিত খেয়া নৌকা রয়েছে। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে খেয়া নৌকা এপার থেকে ওপারে চলে যায়। যে কারণে খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার হতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েন। শুধু মানুষ নয়, মোটরসাইকেল সহ ছোট গাড়ি ও গবাদিপশু সহ বিভিন্ন মালামাল পারাপার করা হয় খেয়া নৌকায়। তবে খেয়া নৌকায় পারাপার হতে খুবই ঝুঁকি রয়েছে। নদীর দুই পার অনেক উচু। এখানে মাটি কেটে উঁচু-নিচু ঢালো রাস্তা করে দেয়া হয়েছে। বৃষ্টি হলে এসব রাস্তা কাঁদা মাটিতে পিচ্ছিল হয়ে যায়। এ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও মালামাল উঠানামা হয়। এছাড়া ছোট ইঞ্জিন চালিত খেয়া নৌকায় সব সময় অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করা হয়। সময় বাচাতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে নৌকাতে উঠে পড়েন। তখন খুবই ঝুঁকি নিয়ে নৌকাটি নদী পারাপার হয়। এ সময় নৌকাতে নারী-পুরুষের সাথে কোমলমতি শিশুরাও থাকে। এভাবেই প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ কুশিয়ারা নদী পারাপার হচ্ছেন। যদিও নদীতে বড় ইঞ্জিন চালিত স্ট্রিলের ফেরি রয়েছে। ফেরিটি দেরিতে চলাচল করায় শুধু বড় গাড়ি ও ভারী মালামাল বেশি বহন করে।
তবে কুশিয়ারা নদী পারাপার হতে চরম ভোগান্তি হলেও নির্মাণাধীন রাণীগঞ্জ সেতু দেখে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। রাণীগঞ্জ সেতুটি চালু হয়ে গেলে আর ভোগান্তি হবে না। তাই মানুষের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত রাণীগঞ্জ সেতুর কাজ শেষ করতে কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। যদিও ১১ ফেব্র“য়ারি মঙ্গলবার রাণীগঞ্জ সেতুর কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম বিল্ডার্স লিমিটেড এর ইঞ্জিনিয়ার রাহাত হোসেন মীর বলেন, দ্রুত এগিয়ে চলছে রাণীগঞ্জ সেতু নির্মাণ কাজ। আমরা আশা করছি আগামী ২০২১ সালের শুরুতেই সেতুটি চালু হয়ে যাবে।