কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা সালাম মিয়া (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে শনিবার বিকালে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক সালাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের মৃত রইছ মিয়ার ছেলে। ধর্ষিতা ওই কিশোরী বর্তমানে মৌলভীবাজার ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা ছফিনা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় কিশোরীর মায়ের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে সালামকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষিতা কিশোরীর মা ছফিনা বেগম জানা যায়, গত শুক্রবার (৭ ফেব্র“য়ারি) তার ছোট মেয়ে ও ছেলে জাফর মিয়াকে বাড়ীতে রেখে বড় মেয়ের স্বামীর বাড়িতে যান। শনিবার ভোর রাতে তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহিরে বের হলে বখাটে সালাম তাকে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক একটি সিএনজি অটোরিক্সা করে উত্তরভাগ গ্রামের প্রবাসী কফিল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়া যায়। পরবর্তীতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সালাম মিয়া জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। অনেক খোঁজখুঁজির এক পর্যায়ে শনিবার বিকাল ৪ টায় উত্তরভাগ গ্রামের প্রবাসী কফিল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসার দরজার তালা ভেংগে তার মেয়ের হাত ও মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন ওই ঘরে থাকা সালাম মিয়া পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে কমলগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে শনিবার রাতেই কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। আটক সালামকে রবিবার দুপুরে গ্রেফতার দেখিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।