দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদাতা :
দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা ইউনিয়নের চাঁন্দের ঘাট গ্রামে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রায় ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করার অভিযোগও রয়েছে।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,ফি ১০০ টাকা দিতে হয়। এর বাইরে সদস্য ফি হিসেবে ৫০ টাকা এবং মিটার জামানত হিসেবে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়। এই ৬০০ টাকা ফেরতযোগ্য। এর বাইরে বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য আর কোনো টাকা দিতে হয় না।
উপজেলার বোগলা ইউনিয়নের চাঁন্দের ঘাট গ্রামের ৩৩টি পরিবার বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য তিনশত টাকা থেকে পাঁচশত টাকা দেন। ভুক্তভোগীরা বলেন, চাঁন্দের ঘাট গ্রামের আলম মিয়া তাঁদের কাছ থেকে এ টাকা নেন। এ ব্যাপারে তাঁরা বোগলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান শেখ চাঁনের কাছে অবগত করেছে।
ভুক্তভোগী কবির হোসেন বলেন বিদ্যুৎ-সংযোগের টাকা না দিলে সংযোগ বিছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে আলম মিয়া।
আলম মিয়ার কাছের বিদ্যুৎ-সংযোগে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক কে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু প্রতিবেদকের কাছে আলম মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে।
ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান শেখ চাঁনের কাছে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জাতে চাইলে তিনি বলে গ্রামের কিছু মানুষ টাকা নেওয়ার বিষয়টিআমাকে অবগত করেছেন।
বাংলাবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ মমিন মিয়া বলেন এই এলাকার লোকজন বিদ্যুতের কার্যালয়ে আসেন না। ফলে দালালেরা যা বলেন, গ্রামবাসী তাই বিশ্বাস করেন। আমাকে লেবারের জন্য পনেরশত(১৫০০) টাকা দেওয়া হয়েছি। সংযোগ পেতে কত টাকা লাগে, তা জানতে সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে জেনে নিলেই এভাবে প্রতারিত হতে হয় না। তবে চাঁন্দের ঘাট গ্রামের সংযোগের জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানেন না। এ বিষয়ে কেউ তাঁকে অভিযোগও দেয়নি।