তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
নিখোঁজের চারদিন পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে সিমেন্টের বস্তায় মিলল তোফাজ্জল হোসেন নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুর লাশ।
শনিবার ভোররাত সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামে থাকা এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছন থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহত তোফাজ্জল উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার জুবায়েল হোসেনের শিশু পুত্র ও বাঁশতলা দারুল হেদায়েত মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও নিহত শিশুর পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার জুবায়েল হোসেনের প্রথম শ্রেণিতে মাদ্রাসায় পড়ুয়া সাত বছর বয়সী শিশু পুত্র তোফাজ্জল হোসেন গত বুধবার বিকেলে নিজ গ্রাম থেকেই নিখোঁজ হন।
নিখোঁজের পর অপহরণ সন্দেহে পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ হতে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ ওই শিশুর সন্ধান পেতে দেশের সব থানায় তার বার্তা ও ই-মেইল প্রেরণ করেন।
এদিকে নিখোঁজের চারদিন পর শনিবার ভোররাতে গ্রামের বাড়ি বাঁশতলার এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে গ্রামবাসী বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশু তোফাজ্জলের লাশ ভেবে থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি সদস্যরা ঘটনাস্তলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন।
অপরদিকে মামলা মোকদ্দমা ও পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে শিশু তোফাজ্জলকে অপহরণ পরবর্তী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এমন সন্দেহে উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের কালা মিয়া ও তার ছেলে সেজাউল কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে শনিবার ভোররাতেই টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
শনিবার ভোররাতে ঘটনাস্থলে থাকা থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই মো. আবু মুসা শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামের কালা মিয়া ও তার ছেলে সেজাউল কবিরকে আটক করেছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে থাকা তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিশু অপহরণ ও হত্যাকান্ডে কে বা কারা জড়িত রয়েছেন সে ব্যাপারে পরবর্তীতে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানানো হবে।