সিলেটের কৃতিসন্তান, রাজনৈতিক সামাজিক ও সংস্কৃতিক অঙ্গনের সুপরিচিত ব্যক্তি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তার সম্মানে গতকাল বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ হল রুমে সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল সমূহের উদ্যোগে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সিলেট রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাবিদ, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ আপাময় দেশপ্রেমিক জনতার সমাবেশ ঘটে। বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো সদস্য ও সিলেট জেলা সম্পাদক কমরেড ধীরেন সিংহ এর সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড সিকান্দর আলীর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রারম্বেই রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত মো. আরশ আলীকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং আয়োজকদের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংবর্ধিত ব্যক্তি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, ন্যাপ সিলেট জেলা সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হান্নান, জাসদ সিলেট জেলা সভাপতি কলন্দর আলী, সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ সিলেট এর আহ্বায়ক এডভোকেট ই.ইউ শাহিদুল ইসলাম শাহীন, বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট জেলা আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমরেড আবু জাফর, গণফোরাম সিলেট মহানগর সভাপতি আনসার খান, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলার সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলার সহ সভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মিয়া, ন্যাপ সিলেট মহানগর সভাপতি ইসহাক আলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিলেট মহানগর সহ সভাপতি ও সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি এডভোকেট রাজ উদ্দিন, জাসদ সিলেট জেলা কমিটি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে.এ কিবরিয়া, সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সেন্টার সিলেট এর নির্বাহী পরিচালক শামছুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, উদীবী সিলেট জেলার সভাপতি এ.কে শেরাস, এডভোকেট আজিজুল মালিক চৌধুরী প্রমুখ।
সংবর্ধনা সভায় আলোচকবৃন্দ ব্যারিস্টার মো. আরশ আলীর বর্ণাঢ্য ও গণমুখী রাজনৈতিক অবদানের জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করে আগামীতে তিনি সা¤্রাজ্যবাদ-সম্প্রদায়িকতা বিরোধী অবস্থানে অবিছল থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কারণ শাসক শ্রেণীর রাজনৈতিক সংঘাতে দিশেহারা গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে এদেশের বাম-প্রগতিশীলরাই যুগে যুগে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। বক্তাগণ বলেন, শুধু ক্ষমতার টিকে থাকা বনাস ক্ষমতার যাওয়ার নেতিবাচক রাজনৈতিক ধারক শাসক শ্রেণীর দ্বারা সৃষ্ট সংকট-সংঘাত কার্যিত অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাজনীতি জন্য এক অশনিসংকেত দিচ্ছে। এহেন অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনা সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী, অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের রাজনৈতিককে কোরবান করা ব্যতীত অন্য কোন বিকল্প নাই। তাই যত শীঘ্র সম্ভব বাম প্রগতিশীল বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা দরকার। বিজ্ঞপ্তি