কাজিরবাজার ডেস্ক :
আবারো হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনে ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। হামলায় ভিপি নুরসহ সাধারণ ছাত্রঅধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রায় ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে তুহিন ফারাবি (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ভিপি নুরসহ আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এসময় তারা আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
আহত তুহিনের বিষয়ে আইসিইউ-এর দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহবুব মোর্শেদ জানান, ফারাবির প্রচুর খিঁচুনি হচ্ছে। এটি আঘাতের কারণেও হতে পারে, আবার আগে থেকে খিঁচুনি রোগ থাকার কারণেও হতে পারে। তার মাথার দুটি সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। তাতে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে তার রোগের হিস্ট্রি জানতে হবে। আগে থেকেই খিঁচুনি রোগ আছে কিনা।
তুহিন ফারাবি রাজধানীর চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেছের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নোয়াখালী সোনাইমুড়ি উপজেলায়। এছাড়া ফারাবি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক।
এদিকে হামলার বিষয়ে একাদিক প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিদিনের সংবাদকে জানায়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে নুর ও তার কর্মীদের আটকে রেখে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। পরে বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়েন। এসময় নুরসহ ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
আহতদের দাবি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আলমামুনের নেতৃত্বে প্রায়অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাদ্দাম হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে দুই নেতা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ডাকসু ভবনের ভেতরে গিয়ে ছাত্রলীগের এই দুই নেতার অনুসারীরা লাইট নিভিয়ে রড দিয়ে বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ করেন আহতরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
জানা যায়, হামলার একপর্যায়ে ডাকসু সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য বাধা দিতে গেলে তাকে শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ তারসমর্থকদের ওপর ডাকসু ভবনে হামলার বিচারে ২৪ ঘন্টাআল্টিমেটাম দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এ সময়তারা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করে।