স্টাফ রিপোর্টার :
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আহমদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি হিসেবে শেখ হাসিনা দেশ শাসন করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা যারা তৃণমূলে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে নিজেদের কোন্দলে দলে যেন কোনো অনুপ্রবশেকারী ঢুকতে না পারে। গতকাল সোমবার দুপুর পৌণে ১২টায় কুচাই ইছরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার মাঝে আমরা খুঁজে পাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। খুঁজে পাই বাঙালি জাতির অস্তিত্বের উৎস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও ত্যাগ না থাকলে বাংলাদেশ হতো না। জাতিকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য, ৩০ লক্ষ শহীদের স্বপ্নকে স্বার্থক করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বিপ্লব সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য ষড়যন্ত্র, আক্রমণ, আঘাত সবকিছু মোকাবেল করে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব পাওয়া আমাদের জাতির জন্য গৌরবের। আহমদ হোসেন বলেন, বিএনপি এখন পথহারা পথিক। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, তারা নির্বাচনে জয়ী হতে পারে না। বিএনপি কর্মসূচি দিয়ে ঘরে বসে থাকে। তাদের বড় বড় নেতারা মাঠে নামেন না। তিনি বলেন, বিএনপি এখন নালিশ পার্টিকে পরিণত হয়েছে। ব্যর্থতার হতাশায় বিএনপি এখন বেপরোয়া।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগরের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতেন। আওয়ামী লীগ যখনই সংকটপূর্ণ অবস্থায় তাকে তখন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রাম করেন। তাই তৃণমূল কর্মীরাই হলো আওয়ামী লীগের প্রাণ। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ৭১ এর স্বাধীনতা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তখন আমি ছোট ছিলাম, স্কুলের ছাত্র। সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এসে শ্লোগান দিতাম ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি, তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, বাঁশের লাঠি তৈরী করো বাংলাদেশ স্বাধীন করো”। তখন আমরা কোর্ট পয়েন্টে অপেক্ষা করতাম দক্ষিণ সুরমা থেকে কবে মিছিল আসছে। দক্ষিণ সুরমা সব সময় আওয়ামী রাজনীতির ঘাটি ছিল। দক্ষিণ সুরমার মরহুম আবরু মিয়া’র বাড়িতে জাতি জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবস্থান করেছিলেন। তাই আমরা যদি দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যের কথা ভাবি, তাহলে মানতে হবে দক্ষিণ সুরমা সিলেট জেলার মধ্যে একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এই উপজেলা সম্মেলনে আজ আমাদের অনেক প্রত্যাশা। আমরা অনেকেই আশাবাদী। আমরা চাই দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগ তার আগের অবস্থানে ফিরে আসুক।
সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক এমপি জেবুন্নেছা হক, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহসভাপতি শাহ ফরিদ আহমদ, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, আশফাক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. নিজাম উদ্দিন, সুজাত আলী রফিক, এড. নাসির উদ্দিন খান, দপ্তর সম্পাক সাইফুল আলম রুহেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজি রইছ আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এড মাহফুজুর রহমান, বণ ও পরিবেশ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এড. রনজিত সরকার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কবির উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুনুল ইসলাম কামল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, উপ দপ্তর সস্পাদক জগলু চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, এড বদরুল জাহাঙ্গীর ও সেলিম আহমদেসহ নেতৃবৃন্দ।