স্টাফ রিপোর্টার :
গত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরা অপপ্রচারসহ নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিকন্দর আলী। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর মো. সিকন্দর আলী জানান, তিনি কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর শেখঘাটের সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল বারবার এই সামাজিকতায় আঘাত করার চেষ্টা করছে। গত সিটি নির্বাচনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়। এরপর থেকে তারা নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিলেট সদর মৎস্য আড়তদার কল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক, পঞ্চায়েতি কমিটি মুরব্বি ও শেখঘাট জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির জয়েন সেক্রেটারী হাজী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার ভাইরা ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার সঙ্গে জড়িত নয়। শেখঘাট কিংবা কাজিরবাজার এলাকায় কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে না। এসবের বিরুদ্ধে বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার মানুষ সক্রিয় রয়েছেন।
অপপ্রচারের কারণ তুলে ধরে সিকন্দর আলী জানান, সিলেটের প্রাচীনতম কাজিরবাজার মৎস্য আড়ৎ নিয়ে এক শ্রেণীর লোকের গাত্রদহ অনেক পুরনো। নতুন ব্রীজ তৈরির সময় তারা চেয়েছিলো ঐতিহ্যবাহী মৎস্য আড়তকে অন্যত্র নিয়ে নিতে। কিন্তু হাজী জাহাঙ্গীর আলমসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা এখানে বাজার স্থাপন করেন। তখনকার অর্থমন্ত্রী ও সাবেক মেয়র আমাদের ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে বাজারটি পুনরায় পূর্বের স্থলে নিয়ে আসেন। ওই ঘটনার সময় থেকে বাজারের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটিয়ে আসছে ওই মহল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখঘাটের রুবেল আহমদ নামের এক ব্যক্তি এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। রুবেল আগে কয়েকবার কারাগারে গেছে। সর্বশেষ চুরি ও হামলার ঘটনায় ৬-৭ মাস আগে মামলায় কারাগারে ছিল। এখন এক মহিলাকে নিয়ে সম্প্রতি এলাকায় সুদের কারবার শুরু করেছে। আর জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান মিয়ার ছেলে বর্তমান যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ যুবলীগের নাম ব্যবহার করে দোকান দখলসহ নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। শেখঘাটের পিছের মুখ এলাকার বেঙ্গল অটোমেটিক রাইসমিলের মালিক হাফিজ মিয়ার একটি দোকান কোটা সে দখল করে আছে। এ নিয়ে কয়েক বার সালিশ হয়েছে। কিন্তু শামীম সালিশ বৈঠকের সিদ্বান্ত মেনে দোকান কোটা ছেড়ে যায়নি। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ প্রতিবাদী হওয়ার কারনে তারা অপপ্রচারে মেতে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, তাদের শেখঘাটের বাড়ি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এখনো ঋণের টাকা তারা মাসে মাসে পরিশোধ করেন। মৌরসি সূত্রে পাওয়া এ বাড়িটি দখল করার প্রশ্নই উঠে না বলে দাবি করেন তিনি। ভাঙ্গাটিকর এলাকায় যে বাগানবাড়ির কথা বলা হয়েছে সেটি মূলত গরু রাখার অস্থায়ী ঘর। ওই জমির মালিকও জাহাঙ্গীর নয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে প্রশাসনসহ সকল মহলের প্রতি আহবান জানান। একই সঙ্গে তিনি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সদর মৎস্য আড়তদার কল্যাণ সমাবায় সমিতির সভাপতি হাজী ফয়জুল হক, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ হাজী মখলিস মিয়া, লালবাজারের ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া ও আছকির আলী।