দৈনিক খাদ্য তালিকায় যাদের ফল ও সবজি বেশি থাকে তারা দেরিতে বৃদ্ধ হয়ে থাকেন, বেশিদিন সুস্থ অবস্থায় পৃথিবীতে বেঁচে থাকেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য দিয়েছেন কয়েকজন কৃষি বিজ্ঞানী। বুধবার “উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং চর এলাকার উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার” শীর্ষক প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা-২০১৯ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জৈন্তাপুরের আয়োজনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।
সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন কৃষি গবেষক, কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষি বিষয়ক সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের কৃষিবিদরা অংশ নেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জিল্লুর রহমান এবং প্রকল্প পরিচালক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আবু তাহের মাসুদ বাংলাদেশের ফল ও শাকসবজির বর্তমান অবস্থা, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভাবিত ফল ও সবজির জাত, ফল ও সবজি চাষে উন্নত ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত কৃষিবিদদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এই দুই উপস্থাপক।
এদিকে কর্মশালার শেষে ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুলের সঞ্চলনায়, সিকৃবি কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমীনের সভাপতিত্ত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. এ কে এম শামছুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ড. শফিকুল ইসলাম, কৃষিতত্ত্ব ও হাওর কৃষি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিঞা, প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র আকবরপুর মৌলভীবাজারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এসএম শরিফুজ্জামান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি