কাজিরবাজার ডেস্ক :
রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ইসি। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার সুরক্ষায় ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড ব্যবস্থা চালু করছে ইসি। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের ৩২টি এলাকাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ ফরম পূরণ করা হয় এবং সার্ভারে তথ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য বিশেষ কমিটির সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে। উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে এসব বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও উল্লেখ করেন দু’একজন কর্মকর্তার জন্য পুরো ইসিকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। এ জন্য বিষয়টি লক্ষ্য রেখে সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে।
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম আসায় ইতোমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসি। ফলে তারা এ বিষয়ে আরও সতর্ক পদক্ষেপে অগ্রসর হচ্ছে। জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সব ডাটাবেজ ইসির হাতে রয়েছে। তাই কোন রোহিঙ্গা ইচ্ছে করলেই ভোটার হতে পারবে না। বিভিন্ন মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকের ভোটার হওয়ার বা এনআইডি পাওয়ার যে তথ্য এসেছে, তাতে দেখা গেছে ভোটার হওয়ার জন্য রোহিঙ্গারা চেষ্টা করেছে। কিন্তু ভোটার হতে পারেনি।
এদিকে তথ্য ভান্ডার সুরক্ষার জন্য রবিবার থেকে ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। পাসওয়ার্ড ছাড়া নির্বাচন কমিশনের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী সার্ভারে ঢুকতে পারবেন না। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা ধরা পড়ার পরই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হলো।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, রবিবার থেকে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, প্রুফ রিডার বা উপজেলা/থানার কোন কর্মকর্তা সার্ভারে ঢুকতে চাইলে তাকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হবে। ফিঙ্গার প্রিন্ট অনুমোদিত হলে তাকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ড অনুমোদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার ই-মেইল অথবা মোবাইল ফোনে ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মী বা কর্মকর্তাকে দিলে তবেই ওই ব্যক্তি সার্ভারে ঢুকতে পারবেন।