নতুন বছরে ১০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর টার্গেট – প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নতুন বছরে ১০ লাখ কর্মী বিদেশে চাকরি দিয়ে পাঠানোর টার্গেট নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। পুরনো বাজারের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নতুন বাজারে এ নিয়োগ হবে। মালয়েশিয়ার বাজারটিও অল্পদিনের মধ্যে খুলে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত ‘শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে রিক্রুটিং এজেন্টের (সেন্ডিং অর্গানাইজেশন) মাধ্যমে জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন এবং শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে সরকারী ব্যবস্থাপনায় সেশেলসে’ ১০ কর্মীকে স্মার্ট কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সেলিম রেজার সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, জনশক্তি রফতানিকারক ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে সেশেলস সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে উচ্চ অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে একটি সুশৃঙ্খল ও কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় সেশেলস আবার কর্মী নিয়োগ শুরু হয়েছে। সেশেলস সরকারের সঙ্গে ‘এগ্রিমেন্ট অন লেবার কন্ট্রাক’ (এএলসি) স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির বলে সেশেলস বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মী নিয়োগ করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সরকারী রিক্রুটমেন্ট এজেন্ট হিসেবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) সেশেলসে কর্মী রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ করেছে। বোয়েসেলের মাধ্যমেই কর্মী নিয়োগ করা হবে। যে ৫ কর্মীকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হলো তাদের এক পয়সাও খরচ হয়নি।
ইমরান আহমেদ বলেন, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে রিক্রুটিং এজেন্টের (সেন্ডিং অর্গানাইজেশন) মাধ্যমে জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন পাঠাচ্ছে। ৫ জন ইন্টার্নকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হযেছে। তারা চার মাস জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপান যাচ্ছেন। বেসরকারীভাবে আরও ৫ জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জাপানে ইন্টার্ন পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া থেকে কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রণালয় সাড়ে চার কোটি টাকা বিমানকে দিয়েছে। আমি মনে করি, মন্ত্রণালয়ের এই টাকা খরচ করা উচিত হয়নি। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মালয়েশিয়ায় সাধারণ ক্ষমা ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচীর আওতায় ৩৬ হাজার বাংলাদেশী অবৈধ কর্মীকে দেশে ফিরতে হবে। তারা দেশে ফেরার জন্য ‘আউট পাস’ সংগ্রহ করে বসে আছেন। কিন্তু এয়ারলাইন্সের টিকেট সঙ্কটের কারণে দেশে ফিরতে পারেননি। তারা গত মার্চ থেকে সময় পেয়েছেন। কেন তারা তখন থেকে দেশে ফেরেননি। তাদের তো ফেরা উচিত ছিল। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আসতে পারেননি-মালয়েশিয়া সরকার তাদের কিছু দিন সময় দেবে। আমরা আলাপ-আলোচনা করে একটা মীমাংসায় পৌঁছেছি।