কাজিরবাজার ডেস্ক :
গ্রামীণফোন ও রবির কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে বিটিআরসি। চলতি সপ্তাহেই পাওনা আদায়ে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ যাবে এই দুই অপারেটরের কাছে।
নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধ না করলে প্রতিষ্ঠান দুটির লাইসেন্স বাতিল কিংবা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এ বিষয়ে গ্রামীণফোন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রবি।
দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠান এনবিআর ও বিটিআরসির রাজস্বসহ অন্যান্য পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অপরদিকে রবির বকেয়া ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। পাওনা অর্থ আদায়ে গেল চৌঠা জুলাই গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি যথাক্রমে ৩০ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেয় বিটিআরসি। গ্রাহকসেবার কথা মাথায় রেখে সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলেও দুই অপারেটরের বিভিন্ন সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র বা এনওসি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
চলমান সমস্যা সমাধানে গ্রামীণফোন ও রবি বারবার সালিসের আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি বিটিআরসি। সর্বশেষ গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল বিটিআরসি। তাতেও কাজ না হলে নিয়োগ দেওয়া হবে প্রশাসক।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আমরা লাইসেন্স বাতিলের দিকে যাব কি-না সেই বিষয়ে আলোচনা করব। প্রথমে ৩০ দিনের নোটিশ দিব, এর মধ্যে টাকা না দিলে আমরা রিসিভার নিয়োগ করব। তিনি সেখানে বলে প্রতিষ্ঠান চালাবেন এবং আমাদের টাকা উদ্ধার করে দিবেন। সরকার টাকা পেয়ে গেলে রিসিভার উঠিয়ে নিব।
এদিকে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন কড়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি গ্রামীণফোন। তবে নিরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রবি বলছে সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করবে না তারা।
রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, আমরা রেশনাল কারণেই বলেছে অডিট রিপোর্টে আমাদের আপত্তি রয়েছে। সেগুলোর সমাধান করলেই বেরিয়ে আসবে আসলে কত টাকা পাওনা। আমার মনে হয়েছে, আমাদের ফোর্স করা হয়েছে যাতে আমরা কোনো আইনি পদক্ষেপ নেই। বর্তমানে ৭ কোটি ৪৭ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে গ্রামীণফোন। আর রবির গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৭৬ লাখ।