মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে নাগরিকদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির বাড়তি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যাতে বাদ পড়া কোন আসামের নাগরিক বাংলাদেশে অনু প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার থানা এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বড়লেখার থানার ওসি ইয়াসিনুল হক বলেন,‘ইতোমধ্যে সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে নিয়ে সামীন্তবর্তী এলাকায় মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছি। তারপরও বিজিবির পাশাপাশি সীমান্ত নিয়মিত পুলিশের টহলও রয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় সীমান্ত এলাকা হচ্ছে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের কুঞ্জবন গ্রাম,কমলগঞ্জ উপজেলার ডবলছড়া, কুরমা ও ধলাই সীমান্ত এলাকা। কুলাউড়ায় উপজেলার চাতলাপুর,নিসিনপুর,মুরইছড়া ও রবিরবাজার সীমান্তবর্তী এলাকা।
বড়লেখা উপজেলার মাধবকুন্ড, ডিমাই, উত্তর ডিমাই,বোবারতল কেছরিগুল আর জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লাঠিটিলা, সেলুয়া, ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগ্রাম ও বটুলী গ্রাম পাশ্ববর্তী আসামের করিমগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে ।
শ্রীমঙ্গল সেক্টরের ৪৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্ণেল আরিফুল হক শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, বিশেষ করে আসামের সাথে যেসব সীমান্ত রয়েছে সেগুলোতে বাড়তি নজরদারী ও বিশেষ সতর্কতা রয়েছে। এ জেলার দুইটি উপজেলা জুড়ী ও বড়লেখা আসাম সীমান্তের ইস্যু। সেটি ৫২বিজিবির আওয়তাধীন। আসাম সীমান্ত এলাকায় যেসব গ্রাম এলাকা রয়েছে সেই এলাকায় বিজিবিকে খুব সর্তক অবস্থানে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, তারপরও ৪৬ বিজিবির আওতাধীন মৌলভীবাজার জেলার সীমান্ত এলাকায় বাড়তি সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। রয়েছেও প্রস্তুতি।’
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়জুর রহমান এসপিপি, পিএসসি বলেন, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার, সীমান্ত হত্যা-নির্যাতন, মাদকদ্রব্য এবং গবাদিপশু চোরাচালান বন্ধের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লাঠিটিলা সীমান্তের ১৪০০ নং পিলার এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিএসফের ১৩৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট শ্রী এল. হাওলাই ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তুতি রয়েছে। আসামে বাদ পড়া ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অনু প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিশেষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।’
প্রসঙ্গত-ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে নাগরিকদের নামের চূড়ান্ত তালিকা শনিবার (৩১ আগষ্ট) প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ।