কাজিরবাজার ডেস্ক :
হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল পেঁয়াজের বাজার। এ অবস্থায় কোরবানির ঈদে বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা কয়েক হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তারা এলসি খোলার কাজ শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) থেকে আমদানি শুরু হবে। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সততা বাণিজ্যালয়ের মালিক বাবলুর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) না দেওয়ায় গত ৫ মে থেকে দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ও কোরবানির ঈদে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পত্র দিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। আগেই আইপির আবেদন করেছিলাম আমরা। সোমবার বিকালে এক হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বন্দরের অনেক আমদানিকারক অনুমতি পেয়েছেন। অনুমতি পাওয়ার পর থেকে এলসি খোলার কাজ শুরু করেছি আমরা। সোমবার ও মঙ্গলবারের মধ্যে এলসি খুলে ফেলবো। মঙ্গলবার বিকাল থেকে আমদানি শুরু হবে। এতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে, সেইসঙ্গে দাম কমবে।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘দেশের কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় গত ৫ মে থেকে পেঁয়াজের আইপি ইস্যু বন্ধ করে রেখেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে ওই দিন থেকে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। এ অবস্থায় কোরবানির ঈদে বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার থেকে আইপি দেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত ১২ আমদানিকারক ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির আইপি পেয়েছেন। আশা করা যায়, মঙ্গলবার থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।’