সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে এগিয়ে আসতে হবে -ডিআইজি শাফিউর রহমান

11

সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম বলেছেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত দেশ গড়তে আলেম-ওলামাদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ইমামরা সামাজিক নেতা। প্রতি শুক্রবার দেশের চার লাখ মসজিদে অন্তত আট কোটি মুসল্লি তাদের পিছনে জুমার নামাজ পড়তে হাজির হন। খুতবার মাধ্যমে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে সম্প্রীতির বাণী পৌছে দিতে পারেন একমাত্র ইমামরা। তাই দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত করতে হলে ইমাম ও ধর্মীয় নেতারা অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে।
মঙ্গলবার নগরীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক নির্মূল ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা, ইউনিসেফের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সাইদুল হক মিল্কি ও সিলেট জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার সৈয়দ সারফরাজ হোসেন।
সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিন ও জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাওলানা নওফল আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান আরো বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে ইমামদেরকে সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে আগামী প্রজন্ম নষ্ট হবে, দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেন, মাদক হচ্ছে সকল অপরাধের মা। অপরাধ নির্মূল করতে হলে মাদক নির্মূল করতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে যেভাবে সকলে মিলে আমরা জয়ী হয়েছি, তেমনি সমন্বিতভাবে কাজ করলে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। তাই বঙ্গবন্ধুর সেই উদ্দেশ্যকে সফল করতে হলে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বিজ্ঞপ্তি